দ্বিতীয় লেগের দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে আগের ম্যাচে ড্র করা ঢাকা আবাহনী। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-২ গোলে হারিয়ে বড় জয় তুলে নেয় তারা।

ঢাকার মাঠে ফিরেই চমক দেখাতে শুরু করেছেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবা। মধ্যবর্তী দলবদলে পুরনো এই গোলের রাজাকেই দলে টেনেছে ঢাকা আবাহনী। আগের ম্যাচে পুলিশের বিপক্ষে এক গোল করেছিলেন। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। 

ব্রাদার্সের বিপক্ষে বেশ আগ্রাসীই মনে হল এই নাইজেরিয়ানকে। ম্যাচের ২২ মিনিটে প্রথমেই আবাহনীকে এগিয়ে দেন সানডে। ব্রাদার্সের সীমানায় জটলার মধ্যে বলে ব্যাক হেড করেন আবাহনীর হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট কারভেন্স। সেই বল পড়ে বক্সের ভেতরে আনমার্কডে থাকা সানডে চিজোবার পায়ে। বিন্দুমাত্র দেরি না করে জালে জড়িয়ে সতীর্থদের সঙ্গে গোলের উল্লাসে মেতে ওঠেন এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। 

৪০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আবাহনী। রায়হানের লম্বা থ্রোয়ে বল পড়ে ব্রাদার্সের গোলপোস্টে। আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানি লাফিয়ে ওঠে ব্যাক হেড করেন। পেছন থেকে দৌড়ে এসে ফের জোরালো হেড করে বল জালে জড়ান আরেক ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন চৌধুরী। 

মিনিট চারেক পর গোপীবাগের জালে বল জড়ান আবাহনীর মিডফিল্ডার জুয়েল রানা। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল অগাস্তো দা সিলভা কর্নার কিক নেন। বক্সের ভেতরে দাঁড়ানো বেলফোর্ট হেড করেন। বল জালে প্রবেশের আগ মুহূর্তে বলে হাত লাগিয়ে রুখে দেন ব্রাদার্সের গোলকিপার জাফর সরদার। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। বল ফস্কে যায় তার হাত থেকে। সেই বল আলতো করে বাঁ পায়ে ঠেলে জালে জড়িয়ে দেন জুয়েল রানা। 

সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোর পর এবার নিজেই গোলের দেখা পান হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট। ৬২ মিনিটে সানডোর বাড়ানো বলে দুর্দান্ত এক শটে গোলে পরিণত করেন তিনি। ৭৭ মিনিটে একটি গোল শোধ দেয় ব্রাদার্স। বক্সের ভেতরে প্রবেশ করেই জোড়ালো শটে আবাহনীর গোলরক্ষক সুলতান আহমেদ শাকিলকে পরাস্ত করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আওয়ালা মাগালান। 

মিনিট চারেক পর একক প্রচেষ্টা বল নিয়ে ব্রাদার্সের বিপদ সীমানায় ঢুকে গোল করে আবাহনীকে আরও এগিয়ে দেন রুবেল মিয়া। ম্যাচের অন্তিম সময়ে পেনাল্টি থেকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন ব্রাদার্সের সেই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আওয়ালা মাগালান। গোলের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান রেফারি জিএম চৌধুরী নয়ন।

এজেড/এমএইচ/এটি