কাতারে গিয়ে দুইটি অনুশীলন ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের। কাতার ফুটবল ফেডারেশন তাদের সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি না পাওয়ায় অনুশীলন ম্যাচ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। তাই দেশের ক্লাবের ওপরই ভরসা রাখতে হচ্ছে বাফুফেকে। 

এই প্রসঙ্গে জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘আমরা এখন দেশেই দুইটি ক্লাবের সঙ্গে খেলার পরিকল্পনা করছি। ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে খুব শিগগিরই অনুশীলন ম্যাচের তারিখ ঠিক হবে।’ 

বাংলাদেশ দল কাতার যাচ্ছে ৩০ এপ্রিল। আজ (বুধবার) আনুষ্ঠানিকভাবে সেটি জানিয়েছে। জাতীয় দল কমিটির প্রধান এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘কাতারে কোয়ারেন্টাইন মওকুফ হলেও তারা অনেক সুবিধা প্রদান করতে পারবে না এই পরিস্থিতিতে। তাই আমরা ফুটবলারদের সুযোগ-সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য ঢাকাতেই ক্যাম্প অব্যাহত রাখব।’

জাতীয় দলের সহকারি কোচ স্টুয়ার্ট পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছেন, ‘কাতারে আগে যেতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু করোনা সময় অনেক বিধিনিষেধ, সীমাবদ্ধতা। আমাদের এখন এখান থেকেই অনুশীলন করতে হবে।’ মিডফিল্ডার আব্দুল্লাহ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা অনুশীলন করে ফিট থেকে এখানে অনুশীলন ম্যাচ খেলতে পারলেও ভালো হবে। অনুশীলন ম্যাচটা দরকার।’ 

আজ বিকেলে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পাঁচ দেশের মধ্যে ভার্চুয়াল সভা হয়। ভার্চুয়াল সভায় কোয়ারেন্টাইন, ভিসা, অনুশীলন মাঠ, হোটেল, বলসহ যাবতীয় বিষয় খুঁটিনাটি আলোচনা হয়েছে। 

এজেড/এমএইচ