৪০ বছর বয়সেও মাঠে ছন্দময় পারফর্ম উপহার দিয়ে চলেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার যখন পড়ন্ত বেলায়, তখন ফুটবলের প্রাথমিক যাত্রাটা শুরু করেছে বড় ছেলে ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। ক্লাবের বয়সভিত্তিক দলের জার্সিতে ইতোমধ্যে নজর কাড়া ১৪ বছরের এই ফুটবলার প্রথমবার পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে ডাক পেয়েছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জেতা রোনালদো আরও কয়েক বছর নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার লম্বা করতে চান। বিশেষ করে ২০২৬ বিশ্বকাপে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার আশা তার। এমনকি ১০০০ গোল করার লক্ষ্য আল-নাসরের এই তারকা ফরোয়ার্ডের। কিছুদিন আগেই করেছেন পেশাদার ক্যারিয়ারের ৯৩৪তম গোল। একই ক্লাব আল-নাসরের বয়সভিত্তিক দলের জার্সিতে সৌদি প্রো লিগে খেলছে ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রও।

একাডেমি পর্যায়ে দৃষ্টিনন্দন পারফরম্যান্সেরই পুরস্কার পেল রোনালদোর ছেলে। প্রথমবার তাকে ডাকা হয়েছে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৫ দলের স্কোয়াডে। স্বভাবতই ছেলের গায়ে পর্তুগালের জার্সিতে ছেলেকে খেলতে দেখা রোনালদোর জন্য গর্বের মুহূর্ত। ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র বয়সভিত্তিক দলে ডাক পেতেই তিনিও ইনস্টাগ্রামে খুশির খবরটি দিয়েছেন এভাবে, ‘আমি তোমাকে নিয়ে গর্বিত, ছেলে।’

বাবার মতোই ছেলে ক্রিশ্চিয়ানোও ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলতে পছন্দ করে। তার সম্ভাবনা নিয়ে এর আগে সিআরসেভেন বলেছিলেন, ‘আমি তার খেলা পছন্দ করি। এটি এমন কিছু নয় যে, তার জন্য আমাকে রাত জাগতে হয়, তবে আমি এটা পছন্দ করি। (সে কেমন সম্ভাবনাময়) আমরা ভবিষ্যতে দেখব। এটি আমার চেয়ে বরং তার ওপরই বেশি নির্ভর করছে।’

অনূর্ধ্ব-১৫ পর্তুগাল দলে ডাক পাওয়া ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র খেলবে ভ্লাতকো মারকোভিচ টুর্নামেন্টে। আগামী ১৩ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ায় এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে পর্তুগালের যুবদল খেলবে জাপান, গ্রিস ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। পর্তুগিজদের হয়ে পর্যাপ্ত গেম-টাইম পাওয়ার আশা ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের।

২০১০ সালে ক্যালিয়াফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে জন্ম গ্রহণ করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। ইতোমধ্যেই বাবার সঙ্গে বিভিন্ন ক্লাবে যাওয়ার পাশাপাশি, তাদের বয়সভিত্তিক দলের জার্সিও গায়ে উঠেছে তার। রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্তাস, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হয়ে বর্তমানে তার বাবার ক্লাব আল নাসরের যুবদলে খেলছে। এবার তার পর্তুগালের হয়ে খেলার পালা। বাবার মতো করে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে কি না তা হয়তো সময়ই বলে দেবে।

এএইচএস