প্রবাসী ফুটবলারদের ট্রায়ালের প্রশ্ন কোচ টিটুর কাছে অপ্রাসঙ্গিক
এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাই টুর্নামেন্টের জন্য শনিবার থেকে শুরু হয়েছে অনুশীলন। দুই দিন পর আজ কিছুক্ষণের জন্য গণমাধ্যম অনুশীলন কাভারের সুযোগ পেয়েছিল। ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর সাইফুল বারী টিটু অনূর্ধ্ব-২৩ দলে কোচিং করাচ্ছেন। এটা অনেক আগেই অনুমেয় থাকলেও বাফুফে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। আজই কোচকে গণমাধ্যমের সামনে এনেছে।
অনূর্ধ্ব-২৩ দলের স্কোয়াড নিয়ে এবার ফুটবলাঙ্গনে তুমুল আগ্রহ ছিল। কারণ সম্প্রতি বাফুফে প্রবাসী ফুটবলারদের ট্রায়াল নিয়েছিল। সেই ট্রায়ালে বেশ কয়েকজন সম্ভাবনাময় ফুটবলার ছিলেন। যারা অনূর্ধ্ব-২৩ দলে আসতে পারেন এমন আভাস ফেডারেশন কর্তারাই দিয়েছিলেন। শুক্রবার ঘোষিত আংশিক দলে ট্রায়াল থেকে শুধু আমেরিকান প্রবাসী জায়ান আহমেদই ডাক পেয়েছেন আর কারো আসার সম্ভাবনাও নেই।
বিজ্ঞাপন
অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু বাফুফের ট্রায়াল কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়ন করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই গণমাধ্যম স্কোয়াড ও ট্রায়ালের ফুটবলার নিয়ে টিটুকেই প্রশ্ন করবে। আজ অনুশীলনের এক পর্যায়ে ট্রায়ালের ফুটবলার শুধু একজন ডাক পেলেন অন্যরা কেন নয় এমন প্রশ্ন হলে টিটু এটাকে উল্টো অপ্রাসঙ্গিক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, 'একদমই একটা অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন আমার মনে হয়। জাতীয় দলের কাভারেজ করছি আমরা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ট্রেনিং সেশন। এখন এটা নিয়ে কথা বলা আমার মনে হয় কোনো যুক্তিযুক্ত কিছু হবে। ট্রায়ালের ব্যাপারটা এখানে আনতে চাচ্ছি না, আমরা কথা বলি অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই বিষয়ে পরে কথা বলব।'
বাফুফে জুনের শেষ সপ্তাহে প্রায় পঞ্চাশ জন প্রবাসী ফুটবলারের ট্রায়াল নিয়েছিল। সেই ট্রায়ালের আনুষ্ঠানিক নাম দিয়েছিল, 'নেক্সট গ্লোবাল স্টারস।' ঐ ট্রায়াল নিয়ে ফেডারেশন দুই-একজন কর্মকর্তা কয়েক মাস আগে থেকে অনেক আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। বাস্তবে এসে সমন্বয়-পরিকল্পনাহীনতার অভাব পুরোটা ফুটে উঠেছে। যদিও ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ প্রক্রিয়া ও বাফুফের পরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যম আগেভাগেই প্রশ্ন তুলেছিল।
বিজ্ঞাপন
হামজা-সামিত আসার পর বাংলাদেশের ফুটবলে এখন আলোচনায় প্রবাসী ফুটবলাররা। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অনুশীলন সেশন আজ কাভারের সুযোগ পেয়ে গণমাধ্যমের ফোকাস ছিল আমেরিকান প্রবাসী জায়ানের উপর। প্রথম ১৫ মিনিটের অনুশীলনে তার স্প্রিন্ট ও পাসিং অনেকেরই চোখে লেগেছে। জায়ানকে নিয়ে মিডিয়ার আগ্রহ থাকলেও ফেডারশেন সামনে এনেছে সিনিয়র দলের স্কোয়াডে থাকা রাব্বি হোসেন রাহুলকে। তিনি কোচের নির্দেশনা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্টে চূড়ান্ত পর্বে খেলার আশা ব্যক্ত করেছেন।
জাতীয় দলের সাবেক কোচ সাইফুল বারী টিটু কোচিং কোর্স করানো থেকে আবার আট মাস পর কোচিংয়ে ফিরেছেন। ঋতুপর্ণা-রুপ্নারা এশিয়ান কাপ নিশ্চিত করায় এখন বাড়তি চ্যালেঞ্জ দেখছেন, 'মেয়েরা এশিয়া কাপ খেলছে ফলে এখন সিনিয়র কিংবা অনূর্ধ্ব-২৩ একটা চাপ তো থাকবেই।' ৯ ও ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডোতে জাতীয় দলের যে সকল ফুটবলারের বয়স ২৩ এর নিচে তারা এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্ট খেলবে। তাই ২৩ দলের কোচ টিটুর কাছে হংকং ম্যাচেও দৃষ্টি, 'আমাদের দলে ১৩ জন থাকবে সিনিয়র দলের। সামনে হংকং ম্যাচ থাকবে। বাংলাদেশ দল যে স্ট্রাইলে খেলে অ-২৩ দলও সেটা অনুসরণ করবে যাতে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা হংকংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকে।'
এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর ও ইয়েমেন। ১১ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও সেরা চার রানার্স আপ দল মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ কখনো এই টুর্নামেন্টে চূড়ান্ত আসরে খেলেনি। এবার বাংলাদেশ খুব মনোযোগী এই টুর্নামেন্ট নিয়ে, 'আমাদের জন্য প্রথম ম্যাচ স্বাগতিক ভিয়েতনামের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের গ্রুপের দলের কোচদের নিয়েও কাজ করছি। বাহরাইনের বিপক্ষে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব সেটা আমাদের জন্য দারুণ সহায়ক হবে।’
এজেড/এইচজেএস