হাঙ্গেরির বিপক্ষে মাঠে নেমেই রেকর্ড গড়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, বনে গিয়েছিলেন ইউরোয় সবচেয়ে বেশি টুর্নামেন্টে খেলার রেকর্ড। এরপর ম্যাচে দুই গোল তাকে এনে দিয়েছে আরও এক রেকর্ড, মিশেল প্লাতিনিকে টপকে বনে গেছেন ইউরোর সর্বোচ্চ গোলদাতা। তবে তার সামনে রেকর্ডের হাতছানি এখানেই শেষ নয়। তার সামনে আছে আরও তিনটি রেকর্ডের হাতছানি। কী সেই রেকর্ডগুলো? চলুন দেখে নেওয়া যাক-

ইউরোপীয় ফুটবলার হিসেবে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ম্যাচ – পর্তুগালের জার্সি গায়ে ১৭৬ ম্যাচ মাঠে নেমেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পর্তুগালের ইতিহাসে এত বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তি নেই আর কারো। তবে ইউরোপীয় ফুটবলারদের হিসেব করলে এ কীর্তিটা আছে রোনালদোর সাবেক সতীর্থ সার্জিও রামোসের দখলে। স্পেনের হয়ে ১৮০টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। চলতি ইউরোয় চোটের কারণে খেলতে পারছেন না তিনি, ফলে সে কীর্তি ছাড়িয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ এসেছে রোনালদোর সামনে। আর মাত্র পাঁচটা ম্যাচ খেললেই ছাড়িয়ে যাবেন রামোসকে, চারটা খেললে বসবেন রামোসের পাশে। পর্তুগাল আর নিজে যেমন আগুনে ছন্দে আছেন, তাতে রেকর্ডটা ভাঙা খুব সাধারণ বলেই মনে হচ্ছে। 

সবচেয়ে বেশি গোল করানোর রেকর্ড- গোল করার ক্ষেত্রে ইউরোর ইতিহাসের পাতায় নাম উঠে গেছে রোনালদোর। তবে করানোর ক্ষেত্রে? সেখানেও নাম আছে তার, তবে যুগ্মভাবে। সেটা এককভাবে নিজের করে নেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না আদৌ। এখন ইউরোয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করানোর রেকর্ডটা আছে কারেল পোবোর্স্কির দখলে, পাঁচটি গোল করিয়েছেন তিনি। আর রোনালদো চারটি অ্যাসিস্ট নিয়ে আছেন দ্বিতীয় স্থানে, এখানে তার সঙ্গী ডেভিড বেকহ্যাম, লুইস ফিগো, আরিয়েন রোবেন, বাস্তিয়ান শোয়েইনস্টাইগারের কিংবদন্তিরা। সতীর্থদের দিয়ে আরও দুটো গোল করালেই সর্বোচ্চ রেকর্ডটি নিজের করে নেবেন তিনি।

সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোল- রোনালদো দেশের হয়ে ১৭৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ১০৬টি গোল। এর ফলে তিনি আছেন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। রেকর্ডটি থেকেও খুব বেশি দূরে নন রোনালদো। প্রথম স্থানে থাকা ইরানের আলি দায়েই দেশের হয়ে ১০৯টি গোল করেছেন। চলতি ইউরোয় আর মাত্র চারটি গোল করলেই রোনালদোর দখলে চলে আসবে সে রেকর্ডটিও।

এনইউ/এটি