মজার খেলা ফুটবল, বৃষ্টির দিনে বেড়ে যায় আনন্দ। বৃষ্টিতে বাফুফে ভবন সংলগ্ন আর্টিফিশিয়াল টার্ফে ক্ষুদে ফুটবলাররা বল নিয়ে মেতেছিল আনন্দে। পাঁচ-ছয় জনে ভাগ হয়ে ফুটবল খেলছেন অনেকে। আবার কেউ প্রথমবারের মতো জার্সি পেয়ে আনন্দে বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলছেন। 

এএফসি গ্রাসরুট ডে লেখা বড় বোর্ডের সঙ্গে সেলফিও তুলেছেন অনেকে। বাফুফের এএফসি গ্রাসরুটের অ্যাম্বাসেডর দুই অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও সাবিনা খাতুন। জামাল কাতার থেকে ফেরায় কোয়ারেন্টাইনে থাকায় আসতে পারেননি এই অনুষ্ঠানে। সাবিনা খাতুন অবশ্য অনেকটায় সময় ছিলেন। ৮-১৫ বছর বয়সী ছেলেদের নানা পরামর্শ দিয়েছেন। জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ককে কাছে পেয়ে ক্ষুদে ফুটবলাররাও ছিলেন উচ্ছ্বাসিত।

মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল মুঈদ। অনেক দিন পর বৃষ্টির মধ্যে খেলার আনন্দ পেয়ে খুশি মুঈদ, ‘অনেক ভালো লাগছে বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলতে পেরে। অনেক আনন্দ লাগছে।’ দেশের একটি শীর্ষ স্কুলের ছাত্র স্বপ্ন দেখেন ফুটবলার হওয়ার, ‘আমাদের স্কুলে অনেক বড় মাঠ। বৃহস্পতিবার স্কুল শেষে খেলতাম মাঠে। এখন করোনায় স্কুল বন্ধ খেলার সুযোগ তেমন পাই না। আমি বড় হয়ে ভালো মিডফিল্ডার হতে চাই।’ 

নিজে মিডফিল্ডার হতে চাইলেও বাংলাদেশ জাতীয় দলে তার প্রিয় ফুটবলার তপু বর্মণ, ‘তপু ভাইয়ের খেলা আমার অনেক ভালো লাগে। সে যেমন গোল বাঁচায় আবার গোলও করে দারুণভাবে।’ 

আজ (শনিবার) এএফসি গ্রাসরুট ডে ঢাকা সহ, মাদারীপুর, নীলফামারী ও ফেনীতে পালন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। শেখ রাসেল ফুটবল একাডেমী, আরামবাগ ফুটবল একাডেমিসহ ঢাকার অনেক একাডেমির ফুটবলাররা এসেছিলেন। করোনার সময়ে এমন আয়োজনে যথাসম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই আয়োজন করেছে বাফুফে। অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে ফুটবলারদের সবাইকে মাস্ক সরবারহ করেছে। 

সুন্দর আয়োজনে ব্যবস্থাপনায় খানিকটা ত্রুটিও ছিল। অনেক ক্ষুদে ফুটবলার সময় মতো এসেও জার্সি পায়নি। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বৃষ্টি ভেজা শরীরে ক্ষুদে ফুটবলারদের সার্টিফিকেটের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল বাফুফে সহ-সভাপতি ও ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের জন্য। 

তার কমিটির অধীনে এই অনুষ্ঠান এবং তিনি ছিলেন আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। শেষ পর্যন্ত মানিক না আসায় বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, নির্বাহী সদস্য আমের খান, মহিদুর রহমান মিরাজ অংশগ্রহণকারী ফুটবলারদের সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
 
এজেড/এমএইচ