হালান্ডের রেকর্ড, ৯ গোলের থ্রিলারে ম্যানসিটির জয়
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গোলের সেঞ্চুরি করলেন আর্লিং হালান্ড। ফুলহামের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন ছাপিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি ৯ গোলের থ্রিলার জিতল ৫-৪ গোলে।
হাফটাইমের কিছুক্ষণ পরই সিটি ৫-১ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু অ্যালেক্স আইওবি ও বদলি খেলোয়াড় স্যামুয়েল চুকুয়েজের জেড়ো গোলে ম্যাচের উত্তেজনা ছিল শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত।
বিজ্ঞাপন
শীর্ষে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান দুইয়ে নামাল ম্যানসিটি। বুধবার গানাররা স্বাগত জানাবে ব্রেন্টফোর্ডকে। এই জয়ে সিটির পয়েন্ট ২৮।
ক্রাভেন কটেজে মাত্র ১৭ মিনিটে জালের দেখা পান হালান্ড। ৩৫তম খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের ১০০ ক্লাবে জায়গা করে নেন তিনি। তবে নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে। ১১১ ম্যাচ খেলে গোলের সেঞ্চুরি করলেন তিনি। অ্যালান শিয়ারারের (১২৪) চেয়ে ১৩ ম্যাচ কম খেলেছেন হালান্ড। ১৯৯৫ সালে গড়া রেকর্ড ৩০ বছর পর কেউ ভাঙলেন।
বিজ্ঞাপন
হালান্ড তার আগে গোলপোস্টে বল মেরে ফুলহামকে কাঁপিয়ে দেন। ফিল ফডেনের পাস থেকে জেরেমি ডকুর নিচু ক্রস, তিজানি রেইন্ডার্স বল ছেড়ে দেন এবং হালান্ড উঁচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
প্রথমার্ধের মাঝপথে ফুলহাম সমতা ফেরাতে বসেছিল। আইওবির বাড়ানো বল থেকে এমিলি স্মিথ রোয়ে বক্সে ঢুকে শট নেন। জিয়ানলুইজি দোনারুম্মার সেভে হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের।
৩৮তম মিনিটে সিটি ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এবার বানিয়ে দেন হালান্ড। কেনি তেতে ও কালভিন বাসের মাঝ দিয়ে তার থ্রু বলে রেইন্ডার্স এভারটন কিপার বার্নড লেনোর মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান।
হাফটাইমের দুই মিনিট আগে লেনোর পাঞ্চে ফিরতি বলে ফডেন স্কোর ৩-০ করেন। রোয়ে প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে হেড করে ব্যবধান কমান।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে হালান্ডের বাড়ানো বলে ডকুর ক্রসে ফডেন ফের জাল কাঁপান। ছয় মিনিট পর সিটির পঞ্চম গোল। ডকুর শট সান্ডার বার্গের হাঁটুতে লেগে আত্মঘাতী গোল হয়।
২০ গজ দূর থেকে ৫৭ মিনিটে আইওবি যখন স্কোর ৫-২ করলেন, তখনো সিটির ধারণা ছিল না তাদের সামনে কঠিন সময় আসছে। ছয় মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করে অতিথিদের ধাক্কা দেন চুকুয়েজে। যখন তার শট দ্বিতীয়বার জালে জড়াল, তখনো ম্যাচ শেষ হতে ১২ মিনিট বাকি, স্টপেজ টাইম ৮ মিনিট।
মার্কো সিলভার দল সিটির কাছ থেকে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে নিজেদের নিংড়ে দিয়েছিল। আরেক বদলি খেলোয়াড় জশ কিং তো বল লক্ষ্যে পাঠিয়ে উদযাপনের অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু জসকো জিভারদিওল গোললাইনে থেকে বল বিপদমুক্ত করেন।
এফএইচএম/