‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই, কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেলগুলো সেই, আজ আর নেই।’- মান্না দের কালজয়ী গানের লাইনগুলো বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে মানানসই। মাদ্রিদের প্রভাবশালী ক্লাবটি যেন এখন ভাঙা হাটে পরিণত হয়েছে। দলের প্রাণ ভোমরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আগেই ক্লাব ছেড়েছেন। এ বছর বিদায় নিয়ে প্রায় ১৬ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে দিলেন অধিনায়ক সার্জিও রামোস। চলে গেছেন দলকে এক সুতোয় গাঁথা কোচ জিনেদিন জিদানও।

তবে ক্লাব ছাড়ার আগে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে লম্বা এক চিঠি লিখে গেছেন জিদান। দীর্ঘদিন পর সেই চিঠির বিষয়ে মুখ খুলছেন পেরেজ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ওন্দা চেরো'র ত্রানসিস্তর অনুষ্ঠানে পেরেজ জানিয়েছে, এই চিঠি যে জিদান লিখতে পারেন, সেটি কোনোভাবেই বিশ্বাস করেন না তিনি।

পেজের জানান, ‘তার ভালোর জন্য শুভকামনা জানাই। সে রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি। ফ্রান্স জাতীয় দলের কোচ হওয়ার ইচ্ছা আছে তার, আশা করব যেন ওই স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তবে আমি ওকে চিনি। আমাদের জন্য বছরটা সহজ ছিল না। তাও আমি চেষ্টা করেছিলাম ওকে দলে রাখার জন্য। ও যে চিঠিটা লিখেছে, সেটা আমি পড়িনি। তবে আমি আমার নাতিপুতিদের কসম খেয়ে বলতে পারি, ওই চিঠি জিদান লেখেনি। অন্যকেউ লিখেছে।’

সেই চিঠিতে যা লিখেছেন জিদান, তাতে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল পেরেজকে। জানিয়েছিলেন, প্রিয় ক্লাব তার ওপর আর আস্থা রাখেনি। ক্লাব ছাড়তে রীতিমতো বাধ্য হয়ে হয় তাকে, ‘আমি ক্লাব ছেড়েছি, কিন্তু কখনোই অনুশীলন করাতে হাঁপিয়ে উঠিনি। ২০১৮ সালের মে মাসে ক্লাব ছেড়েছিলাম। তখন আমার মনে হয়েছিল, আড়াই বছরের সাফল্য এবং এতগুলো শিরোপার পর দলকে উদ্বুদ্ধ করতে নতুন কাউকে দরকার। এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার ক্লাব ছাড়ার কারণ, ক্লাব আমার ওপর আস্থা রাখতে পারছিল না।’

সেই চিঠিতে জিদান আরও উল্লেখ করেন, ‘একটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ক্লাবের পক্ষ থেকে যেমন সমর্থন দরকার, সেটি আমি পাচ্ছিলাম না রিয়ালের কাছ থেকে। আমি ফুটবল বুঝি। বুঝি রিয়ালের কী কী দরকার। আমি জানি, যখন জেতা যায় না, তখন সরে দাঁড়াতে হয়। কিন্তু এখানে আমার অর্জনগুলোকে ভুলে যাওয়া হয়েছে।’

টিআইএস