সালাহর গোলের মুহূর্ত

লিভারপুলে টানা চার ম্যাচ পুরোপুরি বেঞ্চে ছিলেন মোহাম্মদ সালাহ। তারপর ক্লাব ও কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে তার রেষারেষি এসেছিল আলোচনায়। ভেঙে পড়া মনোবল নিয়ে আফ্রিকা নেশন্স কাপ খেলতে মরক্কোতে পা রাখেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড। গতকাল (সোমবার) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে উঠলেন তিনি। ইনজুরি টাইমে তার গোলেই তিন পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করল মিশর।

সাতবারের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন মিশর। কিন্তু সালাহ কখনো এই শিরোপার স্বাদ পাননি। ২০১৭ ও ২০২২ সালে দুইবার খুব কাছে গিয়েও ছোঁয়া হয়নি ট্রফি। ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হয় দল। এবার দলের অষ্টম ও নিজের প্রথম শিরোপার খোঁজে সালাহ।

‘বি’ গ্রুপে মিশর প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল। ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড চার ম্যাচের মধ্যে প্রথমবার শুরুর একাদশে ছিলেন। অ্যানফিল্ডের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎকে একপাশে সরিয়ে রেখে জেতালেন দলকে। ৯১তম মিনিটে সতীর্থের হেডে বক্সের ভেতরে আলগা বল পেয়ে লক্ষ্যে শট নেন সালাহ। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েও তার বাঁ পায়ের শট ঠিক জাল খুঁজে নেয়। উজ্জীবিত ৪০ বছর বয়সী জিম্বাবুয়ে কিপার ওয়াশিংটন আরুবি বলের গতিপথের দিকে ঝাঁপালেও পারেননি ঠেকাতে। দলের ৩৫তম শটে জয়ের আনন্দে মাতে মিশর।

শুরু থেকে দাপট দেখিয়ে খেলেছে মিশর। কিন্তু প্রিন্স ডুবে তাদের নিস্তব্ধ করে দেন। ২০তম মিনিটে আগাদিরে তার গোলে লিড নেয় জিম্বাবুয়ে। সমতা ফেরাতে মরিয়া ছিল মিশর। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাব ও আরুবির অসাধারণ দক্ষতায় গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। মোট ৯টি সেভ করেন জিম্বাবুয়ে গোলকিপার।

শেষ পর্যন্ত ৬৩ মিনিটে ম্যানসিটি ফরোয়ার্ড ওমর মারমৌশ উঁচু শটে জাল কাঁপালে স্বস্তি ফেরে মিশরের মনে। সতীর্থদের বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ করে দিয়েছিলেন সালাহ। ইনজুরি টাইমে নিজেই দায়িত্ব নিলেন। ম্যাচ শেষে আর্নে স্লটকেও যেন বার্তা দিলেন, ‘আমি ফুরিয়ে যাইনি।’ এদিন একই গ্রুপের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ২-১ অ্যাঙ্গোলাকে হারিয়েছে।

এফএইচএম/