গ্যাব্রিয়েল জেসুস/ফাইল ছবি

তখন মাত্রই এক গোলে এগিয়ে গিয়েছে ব্রাজিল। বল জেতার লড়াইয়ে তখনই এক ভুল করে বসলেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস। চিলিয়ান লেফটব্যাক ইউজেনিও মেনার মুখেই লাথি মেরে বসলেন তিনি। অবধারিত লাল কার্ডটা দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তবে দল জিতেছে বলে বাঁচোয়া, নাহয় রীতিমতো শূলেই যে চড়ানো হতো তাকে, তা বলাই বাহুল্য। এরপরও জেসুস ক্ষমাই চেয়েছেন সতীর্থদের কাছে।

কার্ডটা যে যৌক্তিক ছিল তা ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়াতেই বোঝা গেছে। তিনি নিজে তো প্রতিবাদ করেনইনি, প্রতিবাদ আসেনি সতীর্থদের পক্ষ থেকেও। মাঠ ছাড়ার সময় দুয়েকজন এসে পিঠ চাপড়ে দিলেন তার, এই যা!

এই লাল কার্ডের ফলে জেসুস হয়ে রইলেন তিতের ব্রাজিলে খেলে লাল কার্ড পাওয়া একমাত্র ফুটবলার। এর আগে ২০১৯ কোপা আমেরিকার ফাইনালেও লাল কার্ড দেখে দলকে বিপদে ফেলেছিলেন তিনি। 

এরপর দল ধুঁকেছে বেশ। তবে গোল হজম করেনি আর, ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে উঠে গেছে সেমিফাইনালে। তবু জেসুসের মনের অপরাধবোধ যেন কমবার নয়, সেই থেকেই কিনা ফেসবুক পোস্টে ক্ষমা চেয়ে নিলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময় শনিবার ব্যক্তিগত ফেসবুক পাতায় তিনি লিখেছেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে এমন এক ভুল করেছি আমি, যা দলের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারত। তবে আমাদের দলটা তেমন কিছু এড়ানোর জন্য বেশ শক্তিশালী। সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাইছি আমি, আর আমি সব সময় ভুল থেকে শিক্ষা নেব।’

সেই ফাউলে বেশ আঘাতই পেয়েছিলেন মেনা। তার সুস্থতার খবর পেয়ে জেসুসের লেখনিতে ঝরে পড়ল স্বস্তি। তিনি লিখলেন, ‘স্বস্তি পাচ্ছি, কারণ আমি জানতে পেরেছি মেনা সুস্থ আছে। ওর সঙ্গে কথাও হয়েছে আমার।’

লাল কার্ডের কারণে সেমিফাইনালে খেলতে পারছেন না ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার। তবে সেটা সরাসরি হওয়ায় নিদেনপক্ষে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার কথা তার। সেটা হলে কার্যত টুর্নামেন্টটাই শেষ হয়ে যাবে তার।

তবে জেসুসের লাল কার্ডের পরও ব্রাজিল জিতেছে। এই জয়ের পর সেমিফাইনালে উঠে গেছে সেলেসাওরা। এবার প্রতিপক্ষ পেরু, ২০১৯ কোপা আমেরিকার ফাইনালে যাদের মুখোমুখি হয়েছিল তিতের দল।

এনইউ/এটি