আবাহনীকে হারিয়ে চমক দেখাল মুক্তিযোদ্ধা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে আজকের (রোববার) দুটি ম্যাচই অপ্রত্যাশিত ফলাফল হয়েছে। প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হেরেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে আরো অপ্রত্যাশিত ফলাফল হয়েছে। পেশাদার লিগে সবচেয়ে বেশিবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া ঢাকা আবাহনী ২-৪ গোলে হেরেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে। প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়েছিল জয়ীরা।
হারলেও ১৮ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানেই থাকল ঢাকা আবাহনী। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ১১তম স্থানে থাকল এক ম্যাচ কম খেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। তবে এই জয়ে আবাহনীর খুব বেশি ক্ষতি না হলেও অনেক বড় উপকার হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের। তারা রেলিগেশন জোন থেকে আরেকটু দূরে নিজেদের সরিয়ে রাখল।
বিজ্ঞাপন
অন্য দিকে মুক্তিযোদ্ধার এই জয়ে আরো সংকটে পড়ল ঐতিহ্যবাহী দল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তবে ঢাকা আবাহনীর মতো শক্তিশালী দল মুক্তিযোদ্ধার সাথে এইভাবে হার নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে খানিকটা বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রনহীন ছিলেন আবাহনীর ডিফেন্ডাররা। বিশেষ করে গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলকে অমনযোগীই দেখা গেছে। ফলে একের পর এক গোল হজম করতে হয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচের ১৭ মিনিটে আইভরিকোস্টের ফরোয়ার্ড ইব্রাহিম আবু ডিকোর গোলে এগিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। ৪৪ মিনিটে ডিকোর স্বদেশী বাল্লো ফামোসা ব্যবধান দ্বিগুন করেন।
বিজ্ঞাপন
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এক গোল শোধ দেন ঢাকা আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবা (১-২)। ব্যাস, ওই পর্যন্তই আবাহনীর দৌড় শেষ। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ফামোসা নিজের দ্বিতীয় এবং দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন (৩-১)। গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে খেললেও ব্যর্থ হয়েছেন আবাহনীর ফরোয়ার্ডরা। উপরন্তু ৮৪ মিনিটে গোল হজমের হালি পূর্ণ করেন তারা।
মুক্তিযোদ্ধার ফরোয়ার্ড সারোয়ার জামান আবাহনীর হারে কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন (৪-১)। ইনজুরি সময়ে ফরহাদ আহমেদ শিতুল এক গোল করলে আবাহনীর পরাজয়ের ব্যবধান কমে শুধু (২-৪)। দিনের দুই ম্যাচে আট গোলের একটি করলেন দেশি ফরোয়ার্ড। বাকি সাত গোলই করেছেন বিদেশিরা।
এজেড/টিআইএস