এক মাস আগে সাফের সাধারণ সম্পাদকদের সভায় ভুটান আসন্ন সাফে অংশগ্রহণের ব্যাপারে অপরাগতা প্রকাশ করেছিল। সোমবার সাফের জরুরি নির্বাহী সভায় অবশ্য সাফের কাছে সময় চেয়েছে তারা। ভুটান ফুটবল ফেডারেশন তাদের সরকারের কাছে মালদ্বীপে সাফ খেলার ব্যাপারে অনুমতি চাইবে। 

সাফের জরুরি নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ভুটানকে সাফের পক্ষ থেকে তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এই তিন দিনের মধ্যে ভুটান তাদের অবস্থান আমাদের জানাবে।’

তিন দিনের মধ্যে ভুটান আসন্ন সাফ খেলতে সম্মত হলে সেক্ষেত্রে ছয় দলের সাফ হবে। তখন তিনটি করে দল দুই গ্রুপে খেলবে। দুই গ্রুপের শীর্ষ দল সেমিফাইনাল খেলবে। ভুটান যদি আগের অবস্থানেই থাকে সেক্ষেত্রে পাঁচ দলের রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে খেলা হবে। প্রতি দল চারটি করে ম্যাচ খেলবে। শীর্ষ দুই দল ফাইনাল খেলবে। 

টুর্নামেন্টের সময়সূচি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভুটানের জন্য আমরা তিন দিন অপেক্ষা করব। যদি ভুটান খেলে সেক্ষেত্রে একটি ভাচুর্য়াল ড্র অনুষ্ঠান হবে। আর ভুটান না খেললে ফিফা র‌্যাংকিং অনুসারে আমরা রাউন্ড রবিন লিগের ফিকশ্চার প্রকাশ করব।’  আজকের সভায় ১-১৩ অক্টোবর টুর্নামেন্টের সময়সূচি নির্ধারিত হয়েছে পাঁচ দলের ভিত্তিতে। যদি ভুটান খেলে সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের সময় এক দিন বাড়তে বা কমতে পারে। 

নেপালও বেশ আগ্রহী ছিল আসন্ন সাফ আয়োজনের ক্ষেত্রে। নেপালের পরিবর্তে মালদ্বীপকে স্বাগতিক হিসেবে বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে সাফের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মালদ্বীপের করোনা সংক্রমণের হার খুবই কম (প্রতিদিন ১৫০-২৫০ মাত্র)। পাশাপাশি তাদের ভ্যাক্সিনেশনের হার খুব বেশি। সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ ভ্যাক্সিনেটেড হয়ে যাবে বলে জানা গেছে। মূলত নেপালের তুলনায় মালদ্বীপের কোভিড পরিস্থিতি ভালো এজন্য সভায় মালদ্বীপকে বেছে নেয়া হয়েছে।’ -বলেন সাধারণ সম্পাদক। মালদ্বীপকে বেছে নেয়ার আরেকটি কারণ আগামী সপ্তাহে মালেতে এএফসি কাপের দক্ষিণ এশিয়ার পর্বের স্বাগতিক হচ্ছে মালদ্বীপ। ওখানে স্বাগতিক মালদ্বীপের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের ক্লাবও খেলবে।

বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট মানেই করোনা প্রটোকল বা বিধি নিষেধ। সাফের ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিক প্রটোকলই রেখেছে মালদ্বীপ, ‘ম্যাচ শুরুর তিন দিন আগে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে পৌঁছাতে হবে। মালদ্বীপে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নেয়ে যেতে হবে আবার সেখানে গিয়ে করোনা পরীক্ষা হবে। করোনা পরীক্ষার ৬-৭ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে। নেগেটিভ রিপোর্ট পেলে অনুশীলন করা যাবে।’ -জানান হেলাল। এক হোটেলে দুইটি করে দল রাখার পরিকল্পনা মালদ্বীপ ফুটবল এসোসিয়েশনের। 

এজেড/এটি