দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি তার আরেক ভালোবাসা বার্সেলোনাকে ছেড়ে যাচ্ছেন; এমন পরিস্থিতিতে আর্জেন্টিনাও পাশে এসে দাঁড়াল এই কিংবদন্তির। সম্প্রতি নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে এক ভিডিও, যেখানে ঠিকরে পড়েছে আবেগ, সঙ্গে নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য শুভকামনাও।

বার্সেলোনাকে বিদায় বলার মুহূর্তে মেসি হাপুস নয়নে কেঁদেই ফেলেছিলেন। সেই ছবি, ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের এপাশ থেকে ওপাশে। বলাই বাহুল্য, আর্জেন্টিনার সেই ভিডিওতেও থাকল সেই মুহূর্তটা। তবে একটু ভিন্ন রেশ নিয়ে। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রকাশ করা সেই ভিডিওতে বলা হলো, ‘মাথা উঁচু রাখুন, চ্যাম্পিয়ন। এখানে এটা শেষ হয়ে যায়নি। বিশ্বকে দেখিয়ে দিন যে, আর্জেন্টাইন যখন আহত হন, তার চেয়ে ভয়ঙ্কর আর কেউ নেই!’  

ভিডিওতে এরপরই দেখা গেল আর্জেন্টিনা জাতীয় দল আর কাতালান ক্লাবটির হয়ে মেসির গোল আর উদযাপনের কিছু খণ্ড খণ্ড ছবি। বলা হলো, ‘চ্যাম্পিয়ন, বিশ্বসেরাও। সে একজন আর্জেন্টাইন, এটা অবিশ্বাস্য যে সে আমাদের। কিন্তু সবচেয়ে অবিশ্বাস্য যে বিষয়টা, সেটা হচ্ছে, কোনো আর্জেন্টাইনই আপনাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না।’

সেখানে ছিল এএফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়ার বাণীও। তিনি সেখানে জানিয়েছেন, মেসি যেখানেই যান, পাশে পাবেন আর্জেন্টিনাকে। বলেছেন, ‘একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি, কিন্তু অন্য অধ্যায়ের শুরু হচ্ছে এখন। তবে আমরা সবসময় আপনার পাশেই থাকব, নেতা!’ 

তিনি সেখানে আরও যোগ করেন, ‘মাথা উঁচু রাখুন, চ্যাম্পিয়ন। আপনার প্রশংসা অনেক মানুষই করে, তারা আপনাকে খুশি দেখতে চায়, তারা আপনার সঙ্গে হাসে-কাঁদে, আপনাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে। আপনার সঙ্গে কী হচ্ছে, তারা বুঝতে পারছে। কারণ তারা জানে জীবন যখন কোণঠাসা করে ফেলে, ভাগ্য যখন বিড়ম্বনায় ফেলে, তখন কেমন লাগে। তবে সে এটাও জানে যে সেই কোণা থেকে কী করে বেরিয়ে আসতে হয়, সেটা আপনার চেয়ে ভালো কেউ জানে না।’

সে ভিডিওতে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে অবধারিতভাবে স্থান পেয়েছে মেসির কোপা আমেরিকা জয়ের ছবিও। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত সেই আসরে মেসি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দীর্ঘ খরার পরিসমাপ্তি টেনেছিলেন, ৪ গোল করে আর ৫টি করিয়ে নিজেও ছিলেন নাম ভূমিকায়। এএফএ এমন অর্জনের ছবি না এনে পারে কী করে? 

সেটা আনাও হলো। বলা হলো সেখানে, ‘মাথা উঁচু রাখুন, চ্যাম্পিয়ন। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি এখনো জীবিত আছে। কারণ আপনি বিশ্বকে দিনের পর দিন শিক্ষা দিয়েছেন যে, সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন তিনিই, যিনি ব্যক্তিগত জীবনে চ্যাম্পিয়ন।’

এনইউ