সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ভারপ্রাপ্ত কোচ দিয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। আগের ম্যাচে শক্তিশালী শেখ রাসেলকে হারানোর পর আজ ঢাকা আবাহনীকে হারিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ভারী মাঠে সাইফ স্পোর্টিং ৩-২ গোলে ঢাকা আবাহনীকে হারিয়েছে।

এই হারে ঢাকা আবাহনীর রানার্স আপ হওয়ার সম্ভাবনা খানিকটা কমল। ২০ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানেই থাকল সাইফ। অন্যদিকে ২১ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামালের পরের (তৃতীয়) স্থানেই থাকল ঢাকা আবাহনী। শিরোপা আগেই হাতছাড়া হয়েছে ঢাকা আবাহনীর। এবার রানার্স আপ ট্রফি জয়ের দৌড়েও ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়ছে এক সময়ে হ্যাটট্রিক শিরোপাধারী আকাশী হলুদ শিবির। 

প্রথমার্ধে সাইফ স্পোর্টিং ২-০ গোলের লিড নিয়ে ড্রেসিংরুমে গেলেও ম্যাচের ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা আবাহনীর প্রাধান্য ছিল একচেটিয়া। ১৬ মিনিটে ধারার বিপরীতে প্রথম গোলের সুযোগ আসে আবাহনীর সামনে। কিন্তু ফাকা পোস্ট পেয়েও গোল করতে পারেনি ফয়সাল আহমেদ শিতল। সাদ উদ্দিনের বাড়ানো লম্বা ক্রস ধরে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন জুয়েল রানা। সাইফের ডিফেন্ডাররা বাঁধা দিলেও জুয়েল বল বাড়িয়ে দেন শিতলের উদ্দেশ্যে। কিন্তু ফাকা পোস্ট পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেনি শেষ ম্যাচে গোল পাওয়া শিতল।

যেন গোল মিসের মহড়ায় নামে আকাশী হলুদ শিবির। ৩৪ মিনিটে রাফায়েল অগোস্তোর থ্রু পাস থেকে পাওয়া বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড কারভেন্স বেলফোর্ট। সাইফের দুই ডিফেন্ডারকে পিছনে ফেলে ডান পায়ের শট নিলেও ঝাপিয়ে রক্ষা করেন গোলকিপার পাপ্পু হোসেন। মিনিট চারেক পর এবার ব্যর্থতার খাতায় নাম লেখান জুয়েল। রাফায়েল অগোস্তোর থ্রু বল ধরে বক্সের মধ্যে গোলকিপারকে একা পান তিনি। কিন্তু তার নেওয়া ডান পায়ের শট সামনে এগিয়ে এসে পা দিয়ে রক্ষা করেন পাপ্পু।

ম্যাচের ৪৩ মিনিটে আবাহনীকে পেছনে ফেলে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বাড়ানো বল থেকে বাঁ পাশ দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড জন ওকোলি। সেখান থেকে কাট ব্যাক করলে বল পান ইকেচুকু কেনেথ। পা দিয়ে আলতো ছোঁয়ায় বল ঠেলে দেন জালে (১-০)। মিনিট দুয়েক পরেই ব্যবধান দ্বিগুন করেন জন ওকোলি। মাঝ মাঠের সামনে থেকে রহিম উদ্দিনের পাস থেকে পাওয়া বল গোল পোস্টের প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে লং রেঞ্জ শটে বল জালে জড়ান এই নাইজেরিয়ান (২-০)। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে অবশেষে আবাহনী কাঙ্ক্ষিত সেই গোলের দেখা পায়। সাইফের রক্ষণ ভাগে জটলা থেকে বল জালে জড়ান বেলফোর্ট (১-২)।

মিনিট দুয়েকের মধ্যেই সমতা ফেরে আকাশী হলুদ শিবির। বাঁ প্রান্ত দিয়ে দিপক রায়ের কাট ব্যাক থেকে পাওয়া বল ফাকা জায়গায় দাঁড়ানো জুয়েল রানা সহজেই বল জালে জড়িয়ে দেন (২-২)। ৮১ মিনিটে মাঠে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের মাটি ঘেষানো ক্রস থেকে পাওয়া বল দুর্দান্ত শটে দুরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন কেনেথ (৩-২)। শেষে এই ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাইফ। 

এজেড/