জেমি ডে ও স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস/ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হেড কোচ ও সহকারি কোচ দুজনেই ব্রিটিশ। গত দুই বছরে অধিকাংশ সময় তারা একসঙ্গে ছুটিতে বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ড গিয়েছেন আবার ছুটি কাটিয়ে ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন। এবার ব্যতিক্রমভাবে হেড কোচ জেমি ডে একাই এসেছেন। সহকারি কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস আসেননি। স্টুয়ার্ট কবে আসবেন বা আদৌ আসবেন কিনা এটা নিয়ে কোনো সঠিক উত্তর নেই জেমি ডে ও বাফুফের কাছে। 

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস সম্পর্কে বলেন, ‘সাধারণত তারা দু’জন একসঙ্গে আসা যাওয়া করেন। এবার স্টুয়ার্ট আসেননি। তার সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনা চলছে কিছু। আরো কয়েকদিন পর স্টুয়ার্টের ব্যাপারে বাফুফে আরো বিস্তারিত জানাবে।’ 

২০২০ সালের আগস্টের দিকেই জেমি ডে’র চুক্তি ২ বছর নবায়ন হয়। জেমির সঙ্গে স্টুয়ার্টের চুক্তিও বাড়ে। স্টুয়ার্টের আরো এক বছর চুক্তি রয়েছে বাফুফের সঙ্গে। স্টুয়ার্টের চুক্তি ও বাফুফের অবস্থান প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান দেশের বাইরে রয়েছেন। তার আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা। তিনি এসে এসব বিষয় পর্যালোচনা করবেন।’ 

জেমি ডে শুক্রবার এসেছেন। তিন দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ হয়েছে। করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। আজ বিকেলে বাফুফে সভাপতির সঙ্গে জেমি ডে’র একটি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেই সভায় আসন্ন কিরগিজস্তান সফর, সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ ছাড়াও সহকারি কোচ স্টুয়ার্টকে নিয়েও আলোচনা হবে। স্টুয়ার্ট প্রসঙ্গে জেমির বক্তব্য, ‘এই ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানি না। সে এবার আসেনি। সে এবং বাফুফে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। দেখা যাক কি হয়।’ 

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ। সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের আগে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে রদবদল হলে অনুশীলন ও পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তে পারে। জেমি গেম প্ল্যান করলেও অনুশীলন প্রোগ্রামগুলো স্টুয়ার্ট সাজাতেন। জেমি হেড কোচ হলেও বয়সে ও অভিজ্ঞতায় স্টুয়ার্ট সিনিয়র। শেষ পর্যন্ত স্টুয়ার্ট না আসলে তার বিকল্প কে হবেন সেটা দেখার বিষয়। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ঘরোয়া ফুটবল শেষ। স্টুয়ার্ট শেষ পর্যন্ত না আসলে সাফের বিশেষ প্রস্তুতির জন্য দেশের যে কোনো একজন শীর্ষ কোচকে জেমির সঙ্গে দেখা গেলে অবাক হওয়ার থাকবে না। 

এজেড/এনইউ/এটি