শিরোপার উল্লাস বায়ার্নের/গেটিইমেজ

বায়ার্ন মিউনিখ আর বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের লড়াইটা আজকাল হয়ে গেছে রবার্ট লেভান্ডভস্কি আর আর্লিং হালান্ডের লড়াই। সেই লড়াইয়ের দেখা আবারও মিলল গত মঙ্গলবার রাতে। সেই দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলেন বায়ার্ন স্ট্রাইকার। তার জোড়া গোলে ভর করে ৩-১ গোলের দারুণ জয় তুলে নিয়েছে ব্যাভারিয়ানরা, জিতেছে জার্মান সুপার কাপের শিরোপাও।

নতুন কোচ জুলিয়ান নাগেলসমানের অধীনে যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছিল বায়ার্ন। প্রাক মৌসুমের একটি ম্যাচেও জেতেনি, ড্র করেছে প্রথম লিগ ম্যাচেও। সেই বায়ার্নকে পথের দিশা দিলেন লেভা।

সিগনাল ইদুনা পার্কের এই ম্যাচে শুরু থেকে বলের দখলে এগিয়ে ছিল বরুসিয়া। তবে গুছিয়ে আক্রমণে বায়ার্নই উঠছিল বেশি। শুরুর আঘঘণ্টায় ফরোয়ার্ডরা মিসের পসরা সাজিয়ে না বসলে গোলও পেয়ে যেতে পারত সফরকারীরা।

তবে সেই দলটিই প্রথমে পায় গোলের দেখা। বাম পাশ থেকে সের্জ গেনাব্রির ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন লেভা। ৪৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় বায়ার্ন। সেই লেভান্ডভস্কির পাস থেকেই গোলটি করেন থমাস মুলার।

গোল হজমের আগে প্রথমার্ধে একবার বায়ার্নের জালে বল পাঠিয়েছিল বরুসিয়া। কিন্তু সেবার অফসাইডের খড়গে বাতিল হয়েছিল সেটি। দুই গোল হজমের পর আবারও বল জাড়ে জড়ায় বরুসিয়া, কিন্তু এবারও হালান্ডকে বঞ্চিত করে অফসাইডের পতাকা। ৬৪ মিনিটে অবশেষে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলো দলটির। বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে গোলটি করেন মার্কো রয়েস। 

এই গোলেই দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের আশা জেগে ওঠে বরুসিয়া শিবিরে। তবে সে আশা মিলিয়ে যায় একটু পরেই। ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকঞ্জি ব্যাকপাস দিতে চেয়েছিলেন গোলরক্ষককে। কিন্তু তাতে যথেষ্ট গতি না থাকায় তা গিয়ে পড়ে লেভান্ডভস্কির পায়ে। গোল করার সুযোগটা নষ্ট করেননি তিনি। 

এই গোলেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বায়ার্নের। ফলে টানা দ্বিতীয় ও রেকর্ড নবম শিরোপাও ঘরে তোলে নাগেলসমানের শিষ্যরা।

এনইউ