রেকর্ডগড়া গ্রিলিশের রাজসিক ‘অভিষেক’, গোল-উৎসব করে জিতল ম্যানসিটি
অ্যাস্টন ভিলায় থাকতেই নজরে এসেছিলেন, এরপর ইউরোতে যখন ইংল্যান্ডের হয়ে ছড়ালেন বাড়তি আলো, জ্যাক গ্রিলিশকে নিয়ে বাড়তি উন্মাদনাই যেন ছড়িয়ে পড়েছিল ইংলিশ মুল্লুকে। সেই গ্রিলিশকে চলতি দলবদল মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি দলে ভিড়িয়েছে রেকর্ড অর্থ খরচ করে। এবার তার ‘অভিষেক’টাও হলো রাজসিক। সিটির ঘরের মাঠে প্রথম খেলতে নেমেই পেলেন গোলের দেখা। দলও জিতল ৫-০ গোলে।
সিটির জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচটা অবশ্য তিনি খেলে ফেলেছিলেন আগের ম্যাচেই। টটেনহ্যামের বিপক্ষে হারা ম্যাচটা অবশ্য তিনি খেলেছিলেন বদলি হয়ে। নরউইচ সিটির বিপক্ষে ম্যাচে থাকলেন শুরুর একাদশে। গোলও পেয়ে গেলেন তাতে। এর ফলে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের কীর্তির ৭ বছর পর প্রথম ইংলিশ খেলোয়াড় হিসেবে ঘরের মাঠে অভিষেকেই গোলের কীর্তি গড়ে ফেলেন সিটি ফরোয়ার্ড।
বিজ্ঞাপন
শিরোপা ধরে রাখার মিশনে প্রথম ম্যাচটাই হেরেছিল সিটি। টটেনহ্যামের বিপক্ষে সেই হারের ক্ষোভটা মেটানোর জন্য সিটিজেনরা যেন বেছে নেয় নরউইচ সিটিকে। যে গোলে এগিয়ে গিয়েছিল, সেটা অবশ্য এসেছে কপালের জোড়ে। গ্যাব্রিয়েল জেসুসের দারুণ এক শট ঠেকাতে গোলমুখ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন সফরকারী ডিফেন্ডার। কিন্তু তা ঠেকাতে তো পারেনইনি, উল্টো তার আর গোলরক্ষক টিম ক্রুলের গায়ে লেগে শটটা দিক বদলে বল চলে যায় জালে। মৌসুমের ৯৭তম মিনিটে এসে প্রথম গোলের দেখা পায় সিটি।
এরপরই গ্রিলিশের সেই গোল। জেসুসের ক্রস থেকে সহজ ট্যাপ ইনে গোল পেয়ে যান তিনি। এর আগেও অবশ্য একবার বল নরউইচের জালে পাঠায় সিটি, কিন্তু ফেরান তরেসের সেই চেষ্টা গোল হয়নি বিল্ড আপে ফাউলের দোষে।
বিজ্ঞাপন
বিরতিতে এই দুই গোলের লিড নিয়েই যায় সিটি। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, সফরকারীদের দুর্দশা বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। ৬৪ মিনিটে দলটির জালে তৃতীয়বার বল জড়ান এমেরিক লাপোর্ত। ৭১ মিনিটে উৎসবে যোগ দেন বদলি হিসেবে মাঠে আসা স্টার্লিং। ৮৪ মিনিটে নরউইচের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠোকেন রিয়াদ মাহরেজ। তাতে বড় জয় নিয়ে চলতি মৌসুমে পয়েন্টের খাতা খোলে কোচ পেপ গার্দিওলার দল।
এনইউ