ব্রাজিলের জয়ের দুই নায়ক এভারটন আর নেইমার/গেটি ইমেজ

নেইমার-এভারটনের যুগলবন্দিতে চিলির বাধা পেরিয়েছিল ব্রাজিল। সেই মানিকজোড় আবারও জয় এনে দিলেন ব্রাজিলকে। দুজনই করলেন গোল। তাতে ভর করেই পেরুকে ২-০ গোলে হারিয়েছে সেলেসাওরা।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের আগের সাত ম্যাচেই জয়। সে সংখ্যাটাকে এবার আটে উন্নীত করল ব্রাজিল। পেরুর বিপক্ষে শুক্রবার সকালে তুলে নিল সহজ এক জয়। তাতেই শতভাগ জয়ের অপ্রতিরোধ্য যাত্রাটা ধরে রাখল কোচ তিতের শিষ্যরা।

নিজেদের মাঠ অ্যারেনা পের্নামবুকোয় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ব্রাজিল। ছেড়ে কথা বলছিল না পেরুও। বরং শুরুর মিনিটগুলোয় সফরকারীরাই আলো ছড়াচ্ছিল বেশ। তবে একটু ধাতস্থ হতেই ম্যাচের লাগামটা হাতে টেনে নেয় ব্রাজিল দল। ১৪ মিনিটেই তারই সুফল পান নেইমাররা। 

সাইডলাইন থেকে দারুণ দক্ষতায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন নেইমার। একটু এগিয়ে যেতেই করে বসেন ক্রস, তা থেকেই এভারটন রিবেইরোর গোল। শুরুতে অবশ্য এই গোল নিয়ে একটু অসন্তোষ ছিল বৈকি। ফাউল করে নেইমার বল কেড়ে নিয়েছেন, দাবি ছিল পেরুভিয়ানদের। তবে সে দাবি ধোপে টেকেনি, ব্রাজিল এগিয়ে যায় এক গোলে। 

সেই গোলের পর মুহুর্মুহু আক্রমণ হয়েছে দুই প্রান্তেই। কিন্তু গোল আর যেন মিলছিলই না। অবশেষে সে অপেক্ষা শেষ হলো অনেকটা ভাগ্যজোড়েই। বক্সের একটু ভেতরে থেকে রিবেইরো করেছিলেন আগুনে এক শট। সেটা ফিরে আসে পেরু রক্ষণে প্রতিহত হয়ে, তবে অরক্ষিত নেইমার আলতো টোকায় বলটা জড়ান জালে। তাতেই ব্রাজিল দ্বিতীয়ার্ধের আগেই পেয়ে যায় দুই গোলের লিড।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ছিল পেরু। তবে ভোঁতা সব আক্রমণ মোটেও সাহায্য করেনি দলটিকে। যাও দুটো ভালো আক্রমণ হয়েছে ৭২ মিনিটে, সেটাও ভেস্তে গেছে ব্রাজিল রক্ষণ আর গোলরক্ষকের চেষ্টায়। 

কোপা আমেরিকায় দারুণ আলো ছড়ানো জিয়ানলুকা লাপাদুলা দারুণ এক সুযোগ পেয়ে যান, তবে তার শট রুখে দেন এডার মিলিতাও। একটু পরেই বক্সের বাইরে থেকে মার্কোস লোপেজের দারুণ একটা শট ঠেকিয়ে দিয়ে পেরুকে গোলবঞ্চিত রাখেন ব্রাজিল গোলরক্ষক ওয়েভারটন।

এর আগে-পরে বারকয়েক চেষ্টা চালিয়েছে ব্রাজিল। তবে সেসব চেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি তেমন। তাতে অবশ্য খুব একটা ক্ষতিও হয়নি ব্রাজিলের। ২ গোলের লিড যে ছিল! প্রথমার্ধের দুই গোলই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য। এর ফলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা অষ্টম জয় তুলে নেয় সেলেসাওরা। ৮ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ২৪ পয়েন্ট। কনমেবল বাছাইয়ের তালিকায় চূড়াতেই আছে তিতের দল। আর লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার সংগ্রহ সমান সংখ্যক ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। আলবিসেলেস্তেরা আছে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।

এনইউ