ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যখন স্বপ্নের দলবদলে আনন্দে ভাসছেন, তখন আরেক সেরা লিওনেল মেসি হয়তো মনের গভীরে স্মরণ করছেন প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনাকে। ইচ্ছে না থাকলেও ছাড়তে হয়েছে ন্যু ক্যাম্প। পিএসজিতে এখনো মানিয়ে নিতে পারেননি পুরোপুরিভাবে। চলতি মৌসুম রোনালদোর জন্য সোনায় সোহাগা হলেও মেসির একমাত্র সুখস্মৃতি কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়।

মেসির বিদায়ের এতদিন পর অবশেষে এ ব্যাপারে মুখ খুললেন লা লিগা প্রেসিডেন্ট জ্যাভিয়ের তেবাস। তিনি মনে করেন, মেসি থাকতে পারতেন বার্সেলোনায়। এর আগেও সময়ের সেরা অনেক তারকাকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে লা লিগার দলগুলো। তবে মেসির বিদায় যে তাদের জনপ্রিয়তায় একটি বড় ধাক্কা তা অকপটে স্বীকার করে নিলেন তেবাস।

তেবাস বলেন, ‘যেমনটি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, পেপ গার্দিওলা এবং জোসে মরিনিওর বিদায়ের পর হয়েছিল। আমরা জানতাম একদিন এটাও (মেসির বিদায়) হবে। আমাদের সৌভাগ্য দীর্ঘ সময় বিশ্বের সেরা দুজন ফুটবলার (মেসি, রোনালদো) আমাদের লিগে খেলেছেন। এটাকে কাজে লাগিয়ে লা লিগা সেরাদের কাতারে ছিল এতদিন।’ 

মেসির বিদায় মেনে নেয়া অপেক্ষাকৃত কঠিন দাবি করে লা লিগা প্রধান বলেন, ‘তার বিদায়টা বেশি কষ্টদায়ক কারণ ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি সেই বিশ্বের সেরা। এভাবে বিদায় নেয়াটা তার প্রাপ্য না। এটা শুধু বার্সেলোনার নয়, লা লিগারও ব্যর্থতা।’

এর আগে বার্সেলোনা মেসির সাথে চুক্তি নবায়নে অপরাগতার কারণ হিসেবে লা লিগার আর্থিক সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করে। তবে তেবাস মনে করেন, দলটির সকল আর্থিক রিপোর্ট প্রকাশ পেলেই পরিষ্কার হবে সবকিছু। তার ধারণা রিপোর্টগুলো দেখলেই প্রমাণ হবে মেসিকে চাইলে রাখতে পারত বার্সেলোনা। লা লিগা প্রধান বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আর্থিক কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’

বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার সাথেও এ ব্যাপারে কথা বলেছিলেন তেবাস। তিনি বলেন, ‘আমি হুয়ান ও তার বোর্ড অফ ডাইরেক্টরদের সাথে ফোনে কথা বলেছি। আর্থিক ব্যাপার হলে ঠিক আছে কিন্তু কারণটা যদি অন্য কিছু হয় আমি মেনে নেব না। আমার মনে হয় আগামী মৌসুমে বার্সা যখন তাদের আর্থিক রিপোর্টগুলো প্রকাশ করবে, তখন বোঝা যাবে যে আসলেই মেসি বার্সায় থাকতে পারতেন কিনা।’

নেইমার জুনিয়র, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর এবার মেসির বিদায়ে অবশিষ্ট রঙটুকুও হারিয়েছে স্পেনের প্রথম সারির লিগ লা লিগা। দীর্ঘসময় বিশ্বের তিন সেরা মেসি, রোনালদো এবং নেইমারের সুবাদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল এই লিগ। 

এআইএ/টিআইএস