পেলে/ফাইল ছবি

ফুটবল ছেড়েছেন সেই কবে! বয়সও আশি পেরিয়ে গেছে গেল বছর। এই বয়সে এসেও কিনা পেলে বলছেন, নব্বই মিনিট তো বটেই, প্রয়োজন পড়লে আরও অতিরিক্ত সময়ও ফুটবল খেলতে পারবেন দিব্যি!

না, এ অবশ্য আক্ষরিক অর্থেই বলেননি ব্রাজিলিয়ান কালো মানিক, বলেছেন রসিকতা করে। ফুটবলের বরপুত্র ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে অবশেষে মুক্তি পেলেন ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) থেকে। বেরিয়ে ভক্তসমর্থকদের ধন্যবাদ জানান তিনি। এরপরই এলো এই রসিকতা।

সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে সার্জারির পর চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। গতকাল আইসিইউ থেকে বের করা হয় তাকে।

হাসপাতাল কতৃপক্ষ নিজেদের সর্বশেষ মেডিকেল বুলেটিনে জানিয়েছে এখন সুস্থ আছেন ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক পেলে। তারা জানায়, ‘সে এখন ভাল আছে। তাকে আইসিইউ থেকে বের করা হয়েছে। হাসপাতালের একটি রুমে সে এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।‘

আইসিইউতে থাকাকালীন হাজারো ভক্তের শুভকামনা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন এই ফুটবল কিংবদন্তি। সেখান থেকে বের হয়েই তাই জানালেন কৃতজ্ঞতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেলে লিখেন, ‘বন্ধুরা তোমরা যারাই তোমাদের জীবনের একটি মিনিট আমাকে সাহস জোগাতে ব্যয় করেছ তাদের জন্য অফুরন্ত ভালবাসা। আমি আইসিইউ থেকে বের হয়েছি এবং এখন আমার রুমে অবস্থান করছি।‘

সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার রসিকতা করে বলেন, ‘আমি এখনো ৯০ মিনিট খেলতে পারব। দরকার পড়লে অতিরিক্ত সময়েও খেলব। আমরা আবার একত্রিত হব।’ শুভকামনা জানানো পেলের লাখো ভক্ত সমর্থকদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পেলে কন্যা কেলি নাসিমেন্তোও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

বাবার বর্তমান অবস্থা নিয়ে কেলি লিখেন, ‘সে তেমন একটা ব্যাথা অনুভব করছে না এবং মানসিকভাবেও যথেষ্ট চাঙ্গা রয়েছে। সে এখন জেলো (জেলি) ছাড়া কিছু খেতে পারছে না। সে খুবই জেদী এবং শক্তিশালী। আইনস্টাইনের ডাক্তারদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

পেলে ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে দুই গোল করে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতান তিনি। ১৯৭৭ সালে অবসরে যাওয়ার আগে করেছেন ১২৮২ গোল।

এআইএ/এনইউ