সত্যজিত দাশ রুপু/ফাইল ছবি

সাবেক জাতীয় তারকা ফুটবলার ও বাফুফে নির্বাহী সদস্য সত্যজিত দাশ রুপু আবার জাতীয় দলের ম্যানেজার হয়েছেন। মাঝে এক-দেড় বছর রুপু জাতীয় দলের ম্যানেজার ছিলেন না। এর আগে অবশ্য বিভিন্ন মেয়াদে তিনি জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে রুপুর অভিষেক হয়েছিল ২০০৯ সালে ঢাকা সাফে। পুনরায় ম্যানেজার নিয়োগের সময় অনেকটা পুনরাবৃত্তি হলো সেই সাফের ঘটনা।

২০২১ সালে যেন ফিরল ২০০৯ সালের স্মৃতি। জাতীয় দলের কোচ ছিলেন ব্রাজিলিয়ান এডসন সিলভা ডিডো। ব্রাজিলিয়ান কোচের দল গঠন নিয়ে তৎকালীন বাফুফের জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির অসন্তোষ ছিল। ডিডোকে বদলে শহীদুর রহমান চৌধুরি সান্টুকে কোচ করা হয়েছিল। সান্টুর সঙ্গে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন সত্যজিত দাশ রুপু। 

এবার অবশ্য কোচের দল গঠন নয়। কোচ জেমি ডে’র পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট হয়ে তাকে জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে দূরে রেখে ক্লাব কোচিংয়ে থাকা বিদেশি কোচ অস্কারকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। কাকতালীয় ভাবে এইবারও ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সত্যজিত দাশ রুপু।

সাফের আগে কোচ পরিবর্তন বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন কিছু নয়। ২০০৯ সালের পর ২০১৫ কেরালা সাফের আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। ইতালিয়ান কোচ ফ্যাবিও লোপেজকে সাফের এক মাস আগে বাদ দিয়ে মারুফুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। 

সাফের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের আগে এভাবে কোচ অব্যাহতি ও নিয়োগ দেয়া বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন কিছু নয়। জাতীয় দলের আরেক সাবেক কোচ সাইফুল বারী টিটু নতুন কোচ অস্কার ব্রুজনের কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন, ‘হাতে খুবই অল্প সময়। এত কম সময় নতুন যে কোনো কোচের জন্যই চ্যালেঞ্জ।’

আজ জাতীয় দল কমিটির আজকের সভায় কোচ পরিবর্তনের পাশাপাশি ম্যানেজারও মনোনীত করেছে। বাফুফে নির্বাহী সদস্য সত্যজিত দাশ রুপুকে আগামী তিন টুর্নামেন্টের জন্য ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাফুফে। 

রুপু ঢাকা আবাহনীরও ম্যানেজার। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন চতুর্থ মেয়াদে সভাপতি হয়ে পেশাদার ও ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন ম্যানেজার জাতীয় দলের সঙ্গে দিতে চেয়েছিলেন। ২০২০ সালে নির্বাচনের পরপরই নেপাল সিরিজে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেন ব্রাদার্সের ম্যানেজার আমের খানকে। এরপর মাঝে ইকবাল হোসেন দায়িত্ব পেয়েছিলেন। সর্বশেষ কিরগিজস্তান সফরে বাংলাদেশ দল গিয়েছে ম্যানেজার ছাড়াই। সাফের আগে আবার ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত কাউকেই ম্যানেজার করল বাফুফে। চতুর্থ মেয়াদে এক বছর পূর্তির কাছাকাছি সময় এসেও জাতীয় দলের ম্যানেজার বিষয়ে স্থায়ী কিছু করতে পারেনি বাফুফে। 

জাতীয় দলের অর্ন্তবর্তীকালীন কোচ হয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের অস্কার ব্রুজন। গত তিন বছর মাঠে অস্কারের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আবাহনী। সেই আবাহনীর ম্যানেজারের সঙ্গে জাতীয় দলে জুটি কেমন হয় সেটা দেখার অপেক্ষায় দেশের ফুটবলাঙ্গন। সর্বশেষ ২০১৮ ঢাকা সাফেও ম্যানেজার হিসেবে ছিলেন রুপু। 

এজেড/এনইউ