লিওনেল মেসি/ফাইল ছবি

লিওঁর বিপক্ষে দল তখন পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায়। তখনই মাঠ থেকে লিওনেল মেসিকে তুলে দেন পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। এরপর মেসি নিজেও সন্তুষ্ট ছিলেন না, হাত মেলাননি কোচের সঙ্গে। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনাও কম হয়নি। আজ ফরাসি সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছিল, পরের ম্যাচে দলের মূল একাদশে নাও থাকতে পারেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এবার পিএসজি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, চোটের কারণে পরের ম্যাচে খেলা হচ্ছে না তার।

কিছুক্ষণ আগে এক বিবৃতিতে পিএসজি তাদের স্কোয়াডের সব খেলোয়াড়ের চোট নিয়ে সবশেষ তথ্য জানিয়েছে। সেখানেই উঠে এসেছে এই বিষয়টি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘লিওনেল মেসি, যিনি লিওঁঁর বিপক্ষে বাম হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন, মঙ্গলবার সকালে তার এমআরআই পরীক্ষা করা হয়েছে। তারই ফলাফলে উঠে এসেছে তার হাড়ে আঘাতের চিহ্ন। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তার চোটের সবশেষ অবস্থা জানতে আবারও পরীক্ষা করা হবে তার।’ 

ফরাসি সংবাদ মাধ্যম অবশ্য আগেই জানিয়েছিল তার চোটের কথা। নিগলস বা ছোট চোট খেলোয়াড়দের নিত্যদিনের সঙ্গী। সেই নিগলসের কারণেই লিওঁর বিপক্ষে ম্যাচে মেসিকে তুলে নেওয়া হয়েছিল, ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কোচ পচেত্তিনো। তখন ধারণা করা হচ্ছিল সেই চোটের কারণেই হয়তো, আগামী বুধবার রাতে ফরাসি লিগে মেতজের বিপক্ষে ম্যাচে রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীকে নাও দেখা যেতে পারে পিএসজির শুরুর একাদশে। এবার সেই ধারণাই সত্যি হলো। 

পিএসজির যা স্কোয়াড, তাতে পচেত্তিনোর কাছে মেসির মতো সময়ের সেরাকে সাইডবেঞ্চে রাখার বিলাসিতার সুযোগটা থাকছে। তবে পারিপার্শ্বিক চাপ অন্যরকম চোখরাঙানিই দিচ্ছিল পচেত্তিনোকে। রোববার সন্ধ্যায়ই যেমন কাতার রাজপরিবারের একজন খলিফা বিন হামাদ আল সানি, যিনি পিএসজি চেয়ারম্যান নাসের আল খেলাইফিরও আত্মীয়, তিনি রীতিমতো হুমকিই দিয়ে বসেছেন পচেত্তিনোকে। এক টুইটে লিখেছেন, ‘লন্ডন একটা সুন্দর শহর, তুমিও হয়তো জানো বিষয়টা!’ ফরাসি সংবাদ মাধ্যম একে পচেত্তিনোর চাকরিচ্যুতির একটা হুমকি হিসেবেই দেখছে। 

আর তাই মেসিকে দলে নেবেন কিনা, এ প্রশ্নের উত্তরটা একটা ঝুঁকিও নিয়ে আসছিল তার কাছে। এমআরআইয়ের ফলাফলটা তাই পচেত্তিনোর কাজটা সহজই করে দিল বৈকি!

এনইউ