সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না বার্সেলোনার। এবার তারা জিততে পারেনি কাদিজের বিপক্ষেও। প্রথমার্ধে অনেকটাই বিবর্ণ ছিল বার্সা। পরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে কিছুটা ছন্দ খুঁজে পেতেই লাল কার্ড দেখেন ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং। আবারও খেই হারায় রোনাল্ড কোম্যান শিষ্যরা। শেষ অবধি মাঠ ছাড়তে হয়েছে গোলশূন্য ড্র নিয়ে। 

বল দখলে অবশ্য এগিয়ে ছিল বার্সেলোনাই। তবে কাদিজের রক্ষণকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। ম্যাচের বেশির ভাগ সময় বল পায়ে রেখে লক্ষ্যে কেবল দুইটি শট রাখতে পেরেছিলেন রোনাল্ড কোম্যান শিষ্যরা। আর মাত্র ৩২ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখতে পারা কাদিজ ১৩টি শট নেয়, যার তিনটি লক্ষ্যে।

২৭তম মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের ক্রস ঠেকাতে যদিও তেমন কষ্ট করতে হয়নি কাদিজের গোলরক্ষক হেরেমিয়াস লেদেসমারকে। একটু পর ভালো পজিশন থেকে দুর্বল শটে লেদেসমার হাতে বল তুলে দেন মেমফিস ডিপাই।

৫৯তম মিনিটে গোলমুখে জটলার মধ্যে বল পেয়েও শট নেননি তিনি। খুঁজে বেড়ান সতীর্থদের। জায়গা মতো কেউ না থাকায় হতাশা বাড়ে বার্সেলোনার। কিন্তু এর ছয় মিনিট পরই বড় ধাক্কা খায় বার্সা। মাঝমাঠে আলফোন্সো এসপিনোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডি ইয়ং। 

যদিও ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। প্রতিপক্ষের পায়ে লাগার আগে বল স্পর্শ করেছিলেন, এমনটিই দেখা গেছে টিভি রিপ্লেতে। এই ধাক্কা আর পুরো ম্যাচে সামলে উঠতে পারেনি বার্সা। শেষদিকে অবশ্য বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণে যায় দুই দলই। কিন্তু কেউই গোলের দেখা পায়নি।

এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ কাদিজের বিপক্ষে জয়শূন্য থাকল বার্সা। চলতি মৌসুমে লিগে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় ও সবমিলিয়ে তৃতীয় ড্র। পাঁচ ম্যাচে দুই জয় ও তিন ড্রয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে বার্সেলোনা। ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।

এমএইচ