অবশেষে শেষ হয়েছে লিওনেল মেসির অপেক্ষার প্রহর। মেসি ভক্তরা তো বটেই, সকল ফুটবল ভক্তরাই যেন অপেক্ষায় ছিলেন মেসির এই একটি গোলের জন্য। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় দুর্দান্ত সব শৈল্পিক কারিগরিতে ফুটবল বিশ্বকে মুগ্ধ করা এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা নতুন ক্লাব পিএসজিতে যেন হারিয়ে খুঁজছিলেন নিজেকে। অবশেষে সেই গোলটা যখন পেলেন, কোচ মরিসিও পচেত্তিনোকেও ছুঁয়ে গেল সেটা। সাধারণত তাকে গোলের উদযাপন করতে দেখা যায় না, সেই স্বভাববিরুদ্ধ উদযাপনটাই তিনি করলেন মেসির গোলে।

গোড়ালির চোট, পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়া সব মিলিয়ে পিএসজিতে শুরুটা একদমই মনমত হয়নি লিওর। কালকের খেলায় মাঠে নামার আগে সবমিলিয়ে মাত্র ১৯০ মিনিট মাঠে কাটাতে পেরেছিলেন এই ক্ষুদে জাদুকর। মনের মধ্যে নিশ্চয়ই দানা বাঁধছিল ক্ষোভ। সব প্রশ্নের জবাব খেলা দিয়ে দিতেই কিনা গতকালকের ম্যাচের শুরু থেকেই দেখা মেলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মেসির। 

তাইতো খেলার ৭৪ মিনিটে যখন মাঝমাঠ থেকে বল বাড়িয়ে দিলেন মার্কো ভেরাত্তি আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত গতিতে ম্যানচেস্টার সিটির গোলমুখের কাছাকাছি চলে যান মেসি। এমবাপের দুর্দান্ত ব্যাকহিলে দারুণ ফিনিশিংয়ে লা পুলগা বল জালে জড়ানো মাত্রই সাইডলাইনে চিৎকার করে উঠেন পচেত্তিনো। 

খেলাটির পর পিএসজির হয়ে প্রথমবারের মত সিটিকে হারানোর আনন্দে উচ্ছ্বসিত আর্জেন্টাইন এই কোচ বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি কখনোই কোন গোলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করি না। কিন্তু এটা (মেসির গোল) আমি উদযাপন করেছি।’

বরাবরই প্রতিপক্ষ মেসিকে গোল দিতে দেখতে অভ্যস্ত পচেত্তিনোর কাছে নতুন লেগেছে এই অনুভূতি। সাবেক টটেনহ্যাম হটস্পার কোচ বলেন, ‘সবসময়ই তাকে আমার দলের বিপক্ষে গোল দিতে দেখে এসেছি। কিন্তু এবার সে আমার দলে আর এটা সত্যিই বিশেষ কিছু। এই অনুভূতি উদযাপন করার মতই। আজ রাতের এই জয়ের জন্য আমি খুবই খুশি।’

এআইএ/এনইউ