পিএসজিতে যোগ দিয়ে মাঠে ছিলেন আড়াইশ’রও বেশি মিনিট। কিন্তু লিওনেল মেসি যেন গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না কিছুতেই। অবশেষে পেলেন, তাতে ম্যানচেস্টার সিটিকেও তার দল পিএসজি ডোবাল ২-০ গোলে। 

তবে শুধু গোলই নয়, পুরো ম্যাচেই আলো দুই আক্রমণসঙ্গী কিলিয়ান এমবাপে ও নেইমারকে সঙ্গে নিয়ে আলো ছড়িয়েছেন মেসি। আর তাতেই ভয় ঢুকে গেছে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভার মনে। 

নেইমারের সঙ্গে আগেও খেলেছেন মেসি। কিন্তু এমবাপের সঙ্গে নয়। আর তাতে মেসির পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে কিছুটা অনিশ্চয়তাও ছিল এমবাপের সঙ্গে তার রসায়ন নিয়ে। ছয় বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর প্রথম গোলে সে প্রশ্নের জবাবও মিলেছে। মেসির গোলের যোগানটা যে এসেছে এমবাপেরই ব্যাকহিল থেকে!

অথচ এই একদিন আগেও তো ফরাসি থেকে ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম সরগরম ছিল এমবাপে-নেইমারের পাস দেওয়া না দেওয়া নিয়ে। ম্যাচ শেষে মেসি-নেইমারের ইনস্টাগ্রামে ছবি এল, তিনজনে দলের সাজঘরে আছেন হাস্যোজ্জ্বল মুখে। এই দেখে কে বিশ্বাস করবে দুইদিন আগের ঘটনাটা?

তিনজনের সিটির বিপক্ষে এই পারফর্ম্যান্স, তারপরের হাসিমুখ পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর মুখে হাসি ফুটিয়েছে বৈকি! ইউরোপীয় প্রতিপক্ষদেরও বার্তা দিয়ে রাখল তাদের এই নৈপুণ্য। তবে সেটা প্রতিপক্ষের রাতের ঘুম হারাম করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। বিশেষ করে ডিফেন্ডারদের। 

নেইমারের ছবিতে থিয়াগো সিলভার কমেন্ট

ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা যেমন অকপটেই বলে ফেললেন, শিগগিরই তাদের মুখোমুখি হওয়ার ইচ্ছে নেই তার। ইনস্টাগ্রামে নেইমারের ছবিতে সাবেক পিএসজি ও বর্তমান চেলসি ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা যেমন মন্তব্যই করে বসলেন, ‘আমি আশা করব, শিগগিরই যেন আমরা তোমাদের মুখোমুখি না হই। ঈশ্বর ক্ষমা করুন আমাদের।’ 

আরেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিশার্লিসনের অবশ্য মেসিদের পিএসজির মুখোমুখি হওয়ার ভয় নেই। তার এভারটন যে নেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। তাই হয়তো, সিটির বিপক্ষে পিএসজির ম্যাচ দেখে কেবল মুগ্ধই হলেন তিনি। টুইটারে মেসির সেই গোল দেখে তিনি লিখে বসেন, ‘মেসি! মেসি!! মেসি!!!’

এনইউ/এটি