আগের ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ৩-১ গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। কিন্তু রেকর্ড বিশ্বকাপজয়ীরা আজ কলম্বিয়ার বিপক্ষে যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজল। ফলে কলম্বিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়েই বাধ্য হতে হয়েছে নেইমারদের। চলতি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা নয় জয়ের পর এই প্রথম পয়েন্ট খোয়াল কোচ তিতের শিষ্যরা।

তবে স্কোরলাইন কিংবা পরিসংখ্যান, কোনোটাই অবশ্য ম্যাচের আসল চিত্র তুলে ধরতে পারবে না। আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে ব্রাজিল রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে কলম্বিয়া। সেটা একেবারে ম্যাচের শুরু থেকেই। প্রথমেই হুয়ান কুইন্তেরোর শট ঠেকাতে হয় ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসনকে। এর একটু পরই তার ক্রস এসে আছড়ে পড়ে ব্রাজিল রক্ষণে, কিন্তু ইয়েরি মিনা পারেননি তাতে মাথা ছোঁয়াতে। 

প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের সময় যত গড়িয়েছে, ব্রাজিল নিজেদেরকে ধাতস্থ করেছে ততই। ১৪ মিনিটে আসে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ। নেইমারের পাস থেকে লুকাস পাকেতার শটটা একটুর জন্য বেরিয়ে যায় লক্ষ্যের বাইরে দিয়ে।

মিনিট ছয়েক পর আবারও কলম্বিয়ার আক্রমণ আসে ব্রাজিলের বিপদসীমায়। সে যাত্রায় নিখুঁত এক চ্যালেঞ্জে জিতে সেলেসাওদের রক্ষা করেন পিএসজি ডিফেন্ডার মারকিনিয়োস। 

বিরতির আগে গোল না হলেও আক্রমণ হচ্ছিল বেশ কিছু, কিন্তু বিরতির পর যেন সেটাও হলো না। ফলে গোলের সুযোগ পাল্লা দিয়ে কমছিল দুই দলেরই। 

সময় যত গড়িয়েছে দুই দল যেন রক্ষণে মনোযোগী হয়েছে তত। তাই দূরপাল্লার চেষ্টায় গোল পেতে চেয়েছিল স্বাগতিকরা। বক্সের বাইরে থেকে ৬৪ মিনিটে মাতিয়াস উরিবের শটটা দারুণ দক্ষতায় ঠেকাতে হয় অ্যালিসনকে, এর কিছু পরেই কুইন্তেরোর শটও একই রকমভাবে রুখে দেন লিভারপুল গোলরক্ষক।

দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়েছে কলম্বিয়া গোলরক্ষককেও। লিডস মিডফিল্ডার রাফিনিয়ার শট ৭৬ মিনিটে ঠেকান ডেভিড অসপিনা। আক্রমণ, প্রতি-আক্রমণ হলেও দুই দল গোলের দেখা পায়নি শেষ পর্যন্ত। ফলে ড্রয়েই বাধ্য হতে হয় নেইমারের ব্রাজিলকে।

এর ফলে ১০ ম্যাচ শেষে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট খোয়াল সেলেসাওরা। এর আগে টানা নয়টি জয় তুলে নিয়েছিল দলটি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তাদের ঝুলিতে আছে ২৮ পয়েন্ট। আছে কনমেবল অঞ্চলের তালিকার শীর্ষেও। 

এনইউ