গতকাল (রোববার) অনুশীলন করতে এসে ও ফেরার পথে বাংলাদেশ দল বিড়ম্বনায় পড়েছিল। বাংলাদেশ দল এনিয়ে টুর্নামেন্টের আয়োজক সংস্থা সাফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে। আজ (সোমবার) অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু এমনটাই বলেছেন। 

আজ রুপু অনুশীলন শেষে গতকালের ঘটনার সামগ্রিক বিষয়ে বলেন, ‘আমরা অনুশীলনের পর গাড়ি পাইনি। আধা ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করেছি। এরপর আমরা হেঁটেই হোটেলে যাই। এই বিষয়ে আজ আমাদের ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সাফকে চিঠি দেয়া হয়েছে।’ 

বাংলাদেশ দল অনুশীলন শেষে গাড়ি না পাওয়ার বিষয়ে মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হুসাইন জাওয়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশ দল নির্ধারিত সময়ের থেকে ৩০ মিনিট বেশি অনুশীলন করেছে। এজন্য গাড়ি স্টেডিয়ামে অন্য দলকে নিতে এসেছিল। বাংলাদেশ দল নির্ধারিত সময়ে অনুশীলন শেষ করলে এমন ঘটনার সৃষ্টি হতো না’ 

সাফ বা যেকোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলের জন্য আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা থাকে। চলমান সাফে অবশ্য সেটি নেই। একই গাড়ি একাধিক দল ব্যবহার করছে। এই প্রসঙ্গে মালদ্বীপের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই আমরা এই বিষয়গুলো পরিষ্কার করেছি। আমাদের অনেক বিষয় ঘাটতি রয়েছে। আমাদের এখানে সেরকম বড় গাড়ি নেই। মাঝারি যে গাড়ি রয়েছে সেগুলোর পার্কিং সমস্যা রয়েছে। তিন বছর সাফ হচ্ছিল না এজন্য সকল দেশ এসব মেনেই সম্মতি দিয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের সমস্যা হচ্ছে না তেমন। বাংলাদেশ গাড়িসহ বিভিন্ন বিষয় অসন্তোষ প্রকাশ করছে।’ 

বাংলাদেশের ফুটবলাররা গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই শেষ পর্যন্ত হোটেলে যাওয়ায় বিষয়টি দৃষ্টিকটু হয়েছে। চলমান সাফ চলছে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে। বাংলাদেশ দল রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসায় টুর্নামেন্টের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রতিটি দলের অনুশীলনে আমরা পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী পাঠাই। বাংলাদেশ দল বাড়তি অনুশীলন করায় সকল কিছুই ব্যত্যয় হয়েছে। আমরা তাদের অনুশীলন মাঠে থাকতে বলেছিলাম। তারা নিজেরাই হেঁটে হোটেলে এসেছে। এ বিষয়টি যদি দেশের সরকার বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে আসার পর কোনো পদক্ষেপ নেয় তখন আমাদের কিছু করার থাকবে না।’ 

কয়েক মাস আগেই ভারতের ব্যাঙ্গালুরু এফসি জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙার জন্য পুরো টুর্নামেন্টেই বাতিল হয়ে যায়। সেই টুর্নামেন্ট হয় গত আগস্ট মাসে। বাংলাদেশ দল অবশ্য গতকালের ঘটনা নিয়ে এখন আর চিন্তা করছে না। তাদের ভাবনায় এখন শুধু নেপাল ম্যাচ। নেপালকে হারাতে পারলে ২০০৫ সালের পর আবার সাফের ফাইনাল খেলতে পারবে লাল-সবুজের বাংলদেশ।

এজেড/টিআইএস