জীবনে কখনো হলুদ কার্ডও দেখেননি কায়সার হামিদ!
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের আন্তর্জাতিক ম্যাচ মানেই হলুদ কার্ড। মাঝেমধ্যে লাল কার্ডও দেখছেন জামাল ভূঁইয়ার সতীর্থরা। আন্তর্জাতিক ম্যাচের মতো ঘরোয়া ফুটবলেও কার্ড দেখছেন জাতীয় ফুটবলাররা।
দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার কায়সার হামিদ কখনো লাল কার্ড দেখেননি এটা ফুটবলাঙ্গনে অনেকেরই জানা। গত পরশু প্রয়াত রেফারি আজিজের স্মরণ সভা অনুষ্ঠানে নতুন তথ্য দিয়েছেন কায়সার, ‘আজিজ ভাই বাংলাদেশের ফুটবলে অন্যতম সেরা রেফারি। আজিজ ভাই মজা করে বলতেন, তোকে কখনো কার্ড দেখাতে পারলাম না। আমি ক্যারিয়ারে লাল কার্ড তো দেখিনি, হলুদ কার্ডও নেই।’
বিজ্ঞাপন
রেফারি আজিজের স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় অধিনায়ক ইমতিয়াজ সুলতান জনি। তিনি কায়সারের বক্তব্যের রেশ ধরে বলেন, ‘কায়সার বলল ও হলুদ কার্ডও পায়নি। আমি হলুদ কার্ড দেখলেও লাল কার্ড দেখিনি।’ কায়সার হামিদ সব সময় মোহামেডানে খেললেও জনি আবাহনী-মোহামেডান দুই দলেই খেলেছেন। দুই জনপ্রিয় দলে খেলাবস্থায় রেফারি আজিজকে পেয়েছেন তিনি, ‘যখন আবাহনীতে খেলতাম তখন অনেকের মনে হতো আজিজ ভাই মোহামেডানের। আবার যখন মোহামেডানে আসলাম তখন অনেককে বলতে শোনলাম আবাহনীর। আসলে উনি কোনো দলের ছিলেন না। প্রকৃত সিদ্ধান্ত দিতেন।’
আশি-নব্বইয়ের দশক ছিল বাংলাদেশের ফুটবলের সোনালী দিন। সেই সোনালী দিনে ফুটবল রেফারিও ছিলেন অনেক রূপকথার তারকা। আব্দুল আজিজ নিজের ব্যক্তিত্ব ও রেফারিং দিয়ে অনেক ফুটবলারের চেয়েও ছিলেন জনপ্রিয়।
বিজ্ঞাপন
সাবেক ফিফা রেফারি ইব্রাহিম নেছার আজিজের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি আজিজকে স্মরণ করলেন এভাবে, ‘আজিজ ভাই শুধু রেফারি নন, ফুটবল সংগঠকও। অনেক খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে তার মাধ্যমে।’
বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার সন্তান। বুলবলের গেন্ডারিয়া স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ছিলেন আজিজ।
‘শেষ বাঁশির পরে’ শীর্ষক স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন হকি সংগঠক ইউসুফ আলীসহ আরও অনেক রেফারি। আব্দুল আজিজের পরিবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে স্মরণসভা আয়োজন করে।
এজেড/