শ্রীলঙ্কা সফরের আগে জাতীয় দলের ক্যাম্প চলছে ঢিমেতালে। প্রতিদিন খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে আসছেন। এখনো পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড পাননি কোচ ম্যারিও ল্যামোস। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন দলের সিনিয়র ফুটবলার তপু বর্মণ। 

তপু বর্মণ গত দুই মৌসুম বসুন্ধরা কিংসে খেললেও জাতীয় দলের বর্তমান কোচ ম্যারিও ল্যামোসের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রতি টুর্নামেন্টে নতুন কোচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে খুব সমস্যা হবে না বলে মনে করেন তিনি, ‘এই দলে অনেকেই রয়েছে যারা ল্যামোসকে ফিটনেস কোচ হিসেবে পেয়েছে। হেড কোচ হিসেবেও তার অধীনে এখনো আবাহনীতে অনেকে খেলেছে আবার দুই তিন মৌসুম আগেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।’ তপু বর্মণ নিজেই আবাহনীতে খেলেছেন ল্যামোসের কোচিংয়ে। 

তপু বর্মণের বসুন্ধরা কিংসের সতীর্থ ওবায়দুর রহমান নবাব জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করছেন। কাতার প্রবাসী ফুটবলারকে নিয়ে আশাবাদী তপু, ‘সে মেধাবী ফুটবলার। কোচ তাকে সুযোগ দিয়েছেন। সে তার মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে নিজের জায়গা আরো পাকা করতে পারবে।’ 

অনুশীলনে নবাব (বামে)/বাফুফে

ল্যামোসের অনুশীলনের দ্বিতীয় দিনে আজ ১৬ জন ফুটবলার ছিলেন। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বিবাহত্তোর অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান শেষ করে ৩১ অক্টোবর ক্যাম্পে যোগ দেয়ার কথা। তারিক কাজী ফিনিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন। ফিনিশ পাসপোর্ট পাওয়ার পর তিনি ক্যাম্পে আসার সিদ্ধান্ত জানাবেন। 

জাতীয় দলের সহকারি কোচ জাকারিয়া বাবু অনুশীলনে খেলোয়াড় সংকট নিয়ে বলেন, ‘খেলোয়াড়রা অনেকে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে। ফেডারেশন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমরা যে ক’জন খেলোয়াড় পাব তাদের দিয়েই অনুশীলন চালাব।’ দলের ফিটনেস নিয়ে কোনো উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ দেখেন না তিনি, ‘খেলোয়াড়রা দীর্ঘদিন ক্লাবে ছিল। সম্প্রতি সাফ খেলে এসেছে। তাদের ফিটনেস লেভেল ভালোই আছে।’

এজেড/এনইউ