লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার ২১ বছরের সম্পর্কটা শেষ হয়েছে খুবই ট্র্যাজিকভাবে। লা লিগার বেধে দেওয়া বেতন কাঠামোয় রাখা যাচ্ছিল না মেসির বেতনকে, আর্জেন্টাইন তারকা ৫০ শতাংশ বেতন কমানোর পরও। শেষমেশ মেসিকে ছেড়েই দিতে হয় কাতালান দলটিকে। 

কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা জানান, শেষ মুহূর্তে মেসি বিনামূল্যে খেলার কথা বলবেন, এ আশায় ছিলেন তিনি। আরএসি১কে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে লাপোর্তা বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম মেসি একটা ইউটার্ন নেবে, আর এখানে বিনামূল্যে খেলার কথা বলবে।’

যদিও পরক্ষণেই তিনি বলে দিয়েছেন, ‘আমি সেটা হলে বেশ আনন্দিতই হতাম। সেটার জন্য প্রাণপণে চেষ্টাও করতাম। আমার মতে, সেটা লা লিগাও মেনে নিতো। কিন্তু মেসির মানের একজন খেলোয়াড়কে এমনটা করতে বলতে পারেন না আপনি।’

তবে মেসি জানালেন ভিন্ন কথা। জানালেন, তখন বিনামূল্যে খেলার প্রস্তাব কেউই দেননি তাকে। বললেন, ‘সত্যটা হচ্ছে, যখন আমাকে ক্লাব ছাড়ার কথা বোঝানো হলো, আমি থেকে যাওয়ার জন্য আমার সাধ্যমতো সবকিছু করতে চেষ্টা করেছিলাম। তখন একটি বারের জন্যেও কেউ আমাকে বিনামূল্যে খেলার কথা বলেনি।’

অর্ধেক বেতন কমিয়েছিলেন, বিনামূল্যে খেলার প্রস্তাবটা দিলে সেটাও মেনে নিতেন, এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বললেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল অর্ধেক বেতন কমাতে, আমি কোনো সমস্যা ছাড়াই মেনে নিয়েছিলাম। আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে ছিলাম, যখন আমরা ক্লাবকে আরও বেশি সাহায্য করতে চাইছিলাম। আমার আর আমার স্ত্রীর ইচ্ছা ছিল বার্সেলোনায় থেকে যাওয়ার।’

তবে লাপোর্তা যে জনসম্মুখে এ কথা বলেছেন, সেটাই দুঃখ দিয়েছে মেসিকে। বললেন, ‘আমাকে কেউ বলেনি বিনামূল্যে খেলতে। একই সময়ে এটা আমার কাছে মনে হয়েছে, সভাপতির এসব কথা অযাচিত। এসব আমাকে দুঃখ দিয়েছে, কারণ আমি মনে করি তার এসব বলার কোনো প্রয়োজনই নেই। মনে হচ্ছে এটা কোনোরকম পরিণাম না ভেবেই নিজের ওপর থেকে বোঝা সরিয়ে ফেলার জন্য করা হয়েছে।’

লাপোর্তার সেসব কথা ভক্তসমর্থকদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করেছিল বলেও মনে হয় মেসির। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা মানুষের মনে সন্দেহের জন্ম দেয়, যার প্রাপ্য আমি নই বলেই মনে করি।’

এনইউ