জেমি ডে’কে অব্যাহতির পর বাংলাদেশ জাতীয় দল চলছে ভারপ্রাপ্ত কোচ দিয়ে। সাফে স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন জয় দিয়ে শুরু করেছিলেন। আজ চারজাতির টুর্নামেন্টে ম্যারিও ল্যামোস নিজের জাতীয় দলের কোচিংয়ের অভিষেক জয় দিয়ে শুরু করতে পারেননি। দুর্বল এবং র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা সিলেশসের বিপক্ষে এগিয়ে থেকে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ল্যামোসের শিষ্যরা। 

ল্যামোস সব সময় হাসিখুশি থাকেন। আজ অভিষিক্ত ম্যাচের পর তার চেহারায় মলিনতা। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শুরুতেই বলেছেন, ‘আমি অবশ্যই হতাশ এমন ফলাফলে’। সিলেশসের মতো পিছিয়ে থাকা দলের বিরুদ্ধে এক গোলের লিড নিয়ে শেষ মুহুর্তে ড্র করার কারণ সম্পর্কে তিনি ফুটবলারদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন, ‘খেলোয়াড়রা ভেবেছিল হয়তো আমরা জিতেই যাচ্ছি। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে মনযোগে কিছুটা ঘাটতি ছিল।’

খেলোয়াড়দের মনোযোগের ঘাটতির মতো কোচের পরিকল্পনাতেও খানিকটা ঘাটতি ছিল। মাত্র এক গোলের লিড এমন ম্যাচে তিনি অফ ফর্মে থাকা জুয়েল রানাকে নামিয়েছেন। পাশাপাশি হৃদয়কে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক করিয়েছেন। অনুশীলন পর্বে ফাহিম ও ওবায়েদের প্রশংসা করলেও তাদের সুযোগ দেননি। যেখানে প্রীতি ম্যাচ ও আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে পাচটির বেশি খেলোয়াড় বদলের সুযোগ থাকে। 

নিজেদের গোল না করার ব্যর্থতাকেই ম্যাচ ড্রয়ের আরেক কারণ হিসেবে দেখছেন ল্যামোস, ‘আসলে আমরা প্রথমার্ধেই দুই তিন গোলের লিড নিতে পারতাম। সেই সুযোগগুলো হাতছাড়া হওয়ায় ফল ভিন্ন হয়েছে’। দ্বিতীয়ার্ধে পূর্ব আফ্রিকার এক লাখের কম জনগোষ্ঠীর দেশটি যে ভালো খেলেছে সেটি অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন আবাহনী থেকে জাতীয় দলে ভারপ্রাপ্ত হয়ে কাজ করা এই কোচ, ‘তারা অবশ্যই দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ খেলেছে। আমাদের উপর অনেক চাপ দিয়েছে।’ 

বাংলাদেশ ও কোচ ল্যামোস এই টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলার লক্ষ্যে গিয়েছিল। চার দলের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল সিশেলসের বিরুদ্ধে ড্র করে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ হওয়ার পথে। তবে এখনই আশা ছাড়ছেন না কোচ, ‘চার দলের মধ্যে মালদ্বীপ টেকনিক্যালি এগিয়ে। চার দলেরই এখন পয়েন্ট এক। আমাদের আরো দুই ম্যাচ রয়েছে। ফাইনালের সম্ভাবনা এখনো আছে।’ বাংলাদেশ দলের পরবর্তী ম্যাচ মালদ্বীপের বিপক্ষে। 

এজেড/এনইউ