আগামী ২৭ নভেম্বর জানা যাবে ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম। তাতে লিওনেল মেসি তো বটেই, এবার জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে ইতালিয়ান মিডফিল্ডার জর্জিনিওর নামও। কিন্তু সেই জর্জিনিওই আজ করে বসেছেন অমার্জনীয় এক ভুল। ব্যর্থ হয়েছেন পেনাল্টির সুযোগ কাজে লাগাতে, যার খেসারত দিয়ে তার দল ইতালি ১-১ গোলে ড্র করেছে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। তাতে দলটির বিশ্বকাপ নিয়েই রীতিমতো টানাটানি লেগে গেছে এবার।

ম্যাচের আগেও পরিস্থিতিটা মোটেও ভালো ছিল না ইতালির। একের পর এক চোটাঘাতে জর্জরিত ছিল দলটি। এরপর নিজেদের মাঠে এস্তাদিও অলিম্পিকোতেও ভুগেছে ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ১১তম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে কোচ রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা। দারুণ এক প্রতি আক্রমণে নোয়াহ ওকাফোর বক্সের কাছাকাছি গিয়ে কাটব্যাক করেন, বক্সের বাইরে থেকে আগুনে গতির দারুণ এক শটে ইতালির জালে বল জড়ান সিলভান উইডমার।

এরপর আরও দুটো সুযোগ পেয়েছিল দলটি, কাজে লাগাতে পারেনি একটিও; নাহলে ইতালির পরিস্থিতিটা আরও খারাপই হতে পারত। ২২ মিনিটে ইতালিও দারুণ এক আক্রমণ করেছিল, কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ইয়ান সমেরের নৈপুণ্যে গোলবঞ্চিত থাকে দলটি।

৩৬ মিনিটে অবশেষে ইতালি ফেরে সমতায়। লরেঞ্জো ইনসিনিয়ের ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক হেডারে গোল করেন ডিফেন্ডার জিওভান্নি দি লরেন্সো। তাতে সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় ইতালি।

বিরতির পর দুই দলই যেন কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে। আক্রমণের দেখা মিলছিল না তেমন। তবে ইতালি জয়ের আশায় চাপ বাড়াতে থাকে ক্রমেই। ৭৫ মিনিটে সমেরের কৃতিত্বে গোলবঞ্চিত থাকে তারা। ৮৭ মিনিটে অবশেষে আছে সুবর্ণ সুযোগ। তবে পেনাল্টি থেকে দলকে হতাশ করেন জর্জিনিও। তাতে ড্রতেই ‘সন্তুষ্ট’ থাকতে হয় দুই দলকে।

এই ড্রয়ের ফলে বিশ্বকাপ যাত্রা নিয়েই শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে ইতালির। ৭ ম্যাচ থেকে সমান ১৫ পয়েন্ট অর্জন করেছে ইতালি আর সুইজারল্যান্ড। গোলগড়ে এগিয়ে ইতালি আছে শীর্ষে। শেষ ম্যাচে যদি ইউরোজয়ীদের ফলাফলটা সুইসদের থেকে খারাপ হয়, তাহলেই আরও একটা রাউন্ডের প্লে অফ খেলে সে বাধা পেরিয়েই ইতালিকে আসতে হবে বিশ্বকাপে। যদি তাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপে ঘরে বসে থাকতে হবে দলটিকে।

ইউরোপীয় বাছাইপর্বে দিনের অন্য ম্যাচে হ্যারি কেইনের হ্যাটট্রিকে ইংল্যান্ড ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আলবেনিয়াকে। তাতে দলটির বিশ্বকাপ প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গেছে।

এনইউ