বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। তার ঠিক পরের দিন একই নিয়তি হয়েছে এই চার মাস আগে ইউরো জেতা ইতালিরও! 

উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দলটি করেছে গোলশূন্য ড্র। দিনের অন্য ম্যাচে সুইজারল্যান্ড ৪-০ গোলে জিতেছে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে। তাতেই ইতালিকে প্লে অফে ঠেকে বাছাইপর্বের ইউরোপীয় অঞ্চলে ‘সি’ গ্রুপ থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলেছে সুইসরা।

নিজেদের শেষ বাছাই ম্যাচের আগে ইতালি ও সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট ছিল সমান। তবে গোল ব্যবধানে ইতালি দুই গোলে এগিয়ে ছিল সুইসদের থেকে। ফলে জেরদ্রান শাকিরিদের সামনে সমীকরণ ছিল, ইতালির স্কোরলাইনের চেয়ে অন্তত দুই গোলের বেশি ব্যবধানে জয়ের। 

শেষ ম্যাচে দুই দলের খেলাই শুরু হয়েছিল একই সময়ে। দুই দলই প্রথমার্ধে কোনো গোলের দেখা পায়নি। তবে বিরতির পর ইতালি যখন গোলের জন্য লড়ে যাচ্ছে প্রতিপক্ষের মাঠ উইন্ডসর পার্কে, তখন তার প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার দূরে সুইসপোরারেনায় ততক্ষণে গোলের দেখা পেয়ে গেছে সুইসরা। ৪৮ মিনিটে নোয়া ওকাফোরের গোলের পরও অবশ্য শঙ্কা ছিল জেরদ্রান শাকিরিদের, যদি ওদিকে ইতালি গোল করে বসে! এদিকে বুলগেরিয়ার কাছ থেকে গোল হজম করে বসার শঙ্কা তো ছিলই! ৫৭ মিনিটে নোয়া ওকাফোরের গোলে মিটল সে শঙ্কা। এরপর কেদরিক ইটেন, আর রেমো ফ্রয়লারের গোলে সব শঙ্কা তুড়ি মেরে উড়িয়ে বিশ্বকাপে পা রাখে দলটি, ইতালি যে নিজেদের মাঠে তখন গোলের দেখাই পায়নি!

এই জয়ের ফলে ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের দশ ম্যাচ শেষে সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট দাঁড়ায় ১৮, আর নিজেদের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে ইতালির পয়েন্ট হয় কেবল ১৬। তাতেই সুইসদের টানা পঞ্চম বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যায়। আর ইতালি পড়ে যায় টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে না খেলার শঙ্কায়। 

ইতালিয়ানদের সুযোগ অবশ্য এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এখন দলটিকে খেলতে হবে প্লে অফ বাছাই। সেখানে ইউরোপীয় অঞ্চলের ১০ গ্রুপের রানার্সআপ ও নেশন্স লিগের সেরা দুই গ্রুপ জয়ী মিলে খেলবে ১২ দল। সেখান থেকে আরও তিনটি দল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। সেখানে জিতলে তবেই বিশ্বকাপে আসতে পারবে বর্তমান ইউরোজয়ীরা।

দিনের অন্য ম্যাচে হ্যারি কেইনের চার গোলের সুবাদে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ থেকেও নিচে থাকা দল সান মারিনোকে ১০-০ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। তাতে ‘আই’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে গেছে দলটির।

এনইউ