ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সময়টা মোটেও ভালো কাটছে না। লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল দলটিকে। তখনই কোচ ওলে গুনার সোলশায়ারের চাকরি পড়ে গিয়েছিল অনিশ্চয়তায়। এবার ওয়াটফোর্ডও রীতিমতো ছেলেখেলা করল রেড ডেভিলদের নিয়ে। ৪-১ গোলের এই হারের পর বিদায়ঘণ্টা প্রায় বেজেই গেছে ইউনাইটেডের এই নরওয়েজিয়ান কোচের।

ইএসপিএন, মার্কাসহ শীর্ষস্থানীয় অনেক সংবাদমাধ্যমই জানিয়েছে, কোচ সোলশায়ার বিদায় অত্যাসন্ন। সোলশায়ারের ঘনিষ্ঠ সূত্র ধরে ইএসপিএন জানাচ্ছে, ওয়াটফোর্ড ম্যাচের আগেই সোলশায়ার জানতেন, এই ম্যাচটা জিততেই হবে তার দলকে, নাহলে শেষ রক্ষা হবে না তার। হয়েছেও সেটাই, আর তাই এখন তিনি সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিটাই দেখছেন ভবিষ্যৎ হিসেবে। 

লিভারপুল ও সিটির কাছে লজ্জার দুই হারের পরও অবশ্য ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ আস্থা রাখার চেষ্টা করেছিল ওলের ওপর। চলতি মৌসুমের শুরুতেই তিন বছরের চুক্তি সই করা নরওয়েজিয়ান এই কোচকে অন্তত মৌসুমের শেষ পর্যন্ত রাখতে আগ্রহী ছিলেন দলটির কো চেয়ারম্যান জোয়েল গ্লেজার ও কার্যনির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এড উডওয়ার্ড।  

কিন্তু ওয়াটফোর্ডের মাঠ ভিকারেজ রোডে যেভাবে হেরেছে ম্যানইউ সেটাই নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছেন দলটিকে। শেষ সাত ম্যাচে পঞ্চম হারের পর দলটির দুই চেয়ারম্যান আবারও নতুন আলোচনায় বসেছেন। কার্যনির্বাহীদের এই আলোচনায় কথা উঠেছে তাকে বিদায় করলে কত অর্থ গচ্চা দিতে হবে ক্লাবকে, তার কোন স্টাফকে ধরে রাখা হবে এই নিয়েও।

ইউরোপীয় ফুটবলে বর্তমানে পছন্দের কোচেদের অভাব, আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলটির ফলাফলই এতদিন সোলশায়ারের চাকরি ধরে রাখতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করছিল। তবে এখন ক্লাবটিতে রীতিমতো শঙ্কাই সৃষ্টি হয়েছে, ওলে থাকলে ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ চারে অবস্থান ধরে রেখে আগামী মৌসুমেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা ধরে রাখতে পারবে কিনা এই নিয়ে। 

লিভারপুলের কাছে ৫ গোল খেয়ে হারার সময় অবশ্য কোচ অ্যান্তোনিও কন্তে কোনো দায়িত্ব ছাড়াই ছিলেন। কিন্তু এর কিছু পরই তিনি টটেনহ্যামের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ইউনাইটেডের আলোচনায় উঠে এসেছে মরিসিও পচেত্তিনো, ব্রেন্ডন রজার্স, জিনেদিন জিদান, এরিক টেন হ্যাগ, র‍্যালফ র‍্যাংনিকদের মত কোচদের নাম। যদিও এক জিদান ছাড়া বাকি সবাই আছেন কোনো না কোনো ক্লাবের দায়িত্বে। 

গুঞ্জন আছে বিকল্প খুঁজে না পেলেও আজকের মধ্যেই দলটি বিদায় করে দেবে সোলশায়ারকে। আর দলের দায়িত্ব নেবেন ক্লাবটির টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ড্যারেন ফ্লেচার ও সহকারী কোচ মাইকেল ক্যারিক। 

এনইউ/এটি