গ্রুপটাকে শুরুতে মৃত্যুকূপই ধরা হচ্ছিল। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, লিভারপুল, আর পোর্তো, এখানে তো যে কোনো কিছুই হতে পারে! সেই মৃত্যুকূপ থেকেই কিনা লিভারপুল শেষ ষোলয় গেল রীতিমতো ইতিহাস গড়ে। শেষ ম্যাচে এসি মিলানের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও প্রাণভোমরা মোহামেদ সালাহর গোলে জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। তাতে গড়া হয়ে গেছে প্রথম ইংলিশ দল হিসেবে গ্রুপের সব ম্যাচ জেতার কীর্তিও। দিনের অন্য ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, রিয়াল মাদ্রিদ, আয়াক্সও জয় নিয়ে পৌঁছে গেছে শেষ ষোলয়।

সান সিরোয় মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে ২৯ মিনিটেই ফিকায়ো তোমোরির গোলে পিছিয়ে পড়েছিলো লিভারপুল। তাতে মিলানের আশাটাও উজ্জ্বল হয়েছিল বৈকি। নিজেদের ম্যাচে জিতে পোর্তো-অ্যাটলেটিকো ম্যাচটা ড্র হলেই জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচরা চলে যেতেন পরের রাউন্ডে। 

তবে সালাহরা সেটা হতে দেননি। ৩৬ মিনিটে গোল করেন মোহামেদ সালাহ। সমতা ফেরান ম্যাচে। চলতি মৌসুমে ২০তম গোলের মাইলফলকও ছোঁয়া হয়ে যায় তাতে। ২০২১-২২ মৌসুমে এর চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল রবার্ট লেভান্ডভস্কিরই। 

প্রথম গোলের নায়কই ৫৫ মিনিটে খলনায়ক হয়ে যান সান সিরোর দর্শকদের কাছে। নিজেদের অর্ধে সাদিও মানের কাছে বল হারিয়ে বসেন। সেখান থেকে সাদিও মানের শট ঠেকালেও দিভোক অরিগির শট ঠিকই আছড়ে পড়ে জালে। তাতেই ২-১ গোলের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় সফরকারী দলটির। মিলানও ছিটকে যায় গ্রুপ পর্ব থেকেই। গ্রুপের অন্য ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ অ্যান্টোয়ান গ্রিজমান, আনহেল কোরেয়া ও রদ্রিগো ডি পলের গোলে নিশ্চিত করে শেষ ষোল।

অ্যাটলেটিকোর নগর প্রতিদ্বন্দ্বি রিয়াল মাদ্রিদের শেষ ষোল নিশ্চিত ছিল আগেই। গত রাতে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে টনি ক্রুস আর মার্কো অ্যাসেন্সিওর গোলে জিতে নিশ্চিত হয়েছে ‘ডি’ গ্রুপের শ্রেষ্ঠত্বও। হেরেও অবশ্য শেষ ষোলয় উঠে গেছে ইন্টার। 

‘সি’ গ্রুপে বেসিকতাসকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৫-০ গোলে হারিয়েও বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে। স্পোর্টিং লিসবনের সঙ্গে দলটির গোল ব্যবধান এতটাই বড় ছিল যে গত রাতে দলটি আয়াক্সের কাছে ৪-২ গোলে হেরেও বরুসিয়া থেকে ৩ গোলে এগিয়ে থেকে চলে গেছে নকআউটে। 

এনইউ/এটি