বিষয়টার আঁচ আগে থেকেই মিলছিল অনেকটা। বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ, শেষ ষোলয় যেতে হলে যে ম্যাচে জিততেই হতো দলটিকে। সেটা হয়নি। আগেই শেষ ষোল নিশ্চিত করে ফেলা ব্যাভারিয়ানরা কোনো কাতালানদের কোনোপ্রকার ছাড় দেয়নি, হারিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। একই সময় গ্রুপের অন্য ম্যাচে বেনফিকা ডিনামো কিয়েভকে ২-০ গোলে হারালে বার্সেলোনার বিদায়ঘণ্টা বেজে যায়। গ্রুপের ‘তৃতীয় সেরা’ দল হওয়ায় তাদের জায়গা হয়েছে ইউরোপা লিগে।

১৭ বছর ধরে অন্তত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোল খেলে যাচ্ছি বার্সেলোনা। শেষবার যখন বার্সা ইউরোপা খেলেছে, বর্তমান দলের খেলোয়াড় আনসুমানে ফাতি, কিংবা পেদ্রি গনজালেসরা তখন রীতিমতো দুগ্ধপোষ্য শিশু! ২০০৩-০৪ মৌসুমে শেষবার দলটি খেলেছিল ইউরোপায়। এরপর থেকে আর ইউরোপের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় আর কখনোই খেলতে হয়নি বার্সাকে।

বার্সেলোনার সামনে সমীকরণ ছিল বেনফিকার চেয়ে ভালো করার। অর্থাৎ বেনফিকা হারলে বার্সেলোনার হারলেও সমস্যা ছিল না। কিন্তু তারা ড্র করলে, কিংবা জিতে গেলেই হতো সমস্যা। সে সমীকরণ মেলেনি দলটির।

তবে সুযোগ এসেছিল দলটির কাছে। বায়ার্নের মাঠ আলিয়াঞ্জ আরেনায় বুধবার রাতে দলটি শুরুতে দুটো সুবর্ণ সুযোগই পেয়েছিল। জর্দি আলবার একটা চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছেন ম্যানুয়েল নয়্যার, এর কিছু পর আরও একটা সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয়েছে উসমান দেম্বেলের এক লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে।

এরপরই বার্সেলোনার ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছে বায়ার্ন। শুরুটা করেছেন ‘বার্সেলোনার ত্রাস’ থমাস মুলার। রবার্ট লেভান্ডভস্কির ক্রস থেকে গোলটি করেন তিনি। তাতে বার্সার বিপক্ষে সাত ম্যাচে তার গোল হলো ৮টি, এ সময় আরও তিনটি গোল করিয়েছেনও তিনি!

বিরতির একটু আগে লেরয় সানের ৩০ গজ দূর থেকে করা এক শট গিয়ে আছড়ে পড়ে জালে। তাতে বিরতির আগেই দলটির শেষ ষোলর আশা ফিকেই হয়ে আসে। বিরতির পর আলফনসো ডেভিসের পাস থেকে গোল করে বার্সার কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দিয়েছেন জামাল মুসিয়ালা। 

তাতে বায়ার্ন পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চলে যায় শেষ ষোলয়। আর বার্সা ৭ পয়েন্ট নিয়ে ইউরোপা লিগে। দিনের অন্য ম্যাচে কিয়েভকে ২-০ গোলে হারানো বেনফিকা ৯ পয়েন্ট নিয়ে চলে যায় শেষ ষোলয়।

এনইউ