লিভারপুলের কিংবদন্তি তিনি। অ্যানফিল্ডে তাই অনেক স্মৃতি স্টিভেন জেরার্ডের। শনিবার আবারও সেখানে ফিরছেন তিনি। খেলোয়াড় হিসেবে তো নয়ই, প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলার কোচ হিসেবে ফিরবেন তিনি। কেমন অনুভূতি হবে জেরার্ডের? লিভারপুলের বিপক্ষে গোল করলে কি স্টিভেন জেরার্ড উদযাপন করবেন? 

সেটাকেই বা কীভাবে মেনে নেবেন লিভারপুল সমর্থকরা। তবে জেরার্ড চাইলে লিভারপুলের বিপক্ষে অ্যাস্টন ভিলার গোলের পর ‘পাগলা শয়তান’-এর মতো উদযাপন করতে পারেন। এমনটি বলেছেন লিভারপুলের বর্তমান কোচ জেরার্ড।

তিনি বলেন, ‘জেরার্ড দারুণ একজন ছেলে। সে এখানে ফুটবল ম্যাচই জিততে আসবে। আমার এখনও মনে আছে ডর্টমুন্ডে গিয়ে যখন গোল করলাম। আমি তখন সব গল্প ভুলে গেলাম এবং পাগলা শয়তানের মতো উদযাপন করলাম। সেও এটা করতে পারে। কিন্তু আমি শুধু প্রত্যাশা করব সেটা যেন সে না করতে পারে।’

ক্লপের ক্যারিয়ারে উত্থানের মূলে ছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে। লিভারপুলের দায়িত্ব নেওয়ার পর জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে ডাগ আউটে ছিলেন তিনি। জেরার্ডের অনুভূতিটা তাই ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন ক্লপ। শুনিয়েছেন নিজের অভিজ্ঞতার কথাও।

তিনি বলেছেন, ‘খুব সুন্দর একটা গল্প। আমি তার অনুভূতিকে কল্পনা করতে পারি। কোনো অনূভূতি নেই, ইত্যাদি, ইত্যাদি। কোচ হিসেবে জেরার্ড ইতোমধ্যেই যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, জানে কীভাবে ম্যাচে থাকতে হবে। কিন্তু তার হয়তো ধারণা নেই স্টেডিয়ামে ঢুকে অন্য ডাগ আউটে থাকার অনুভূতি কেমন হবে।’

‘আমার নিজেরও একইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল যখন আমি মিনোজে ফিরেছিলাম লিভারপুলের হয়ে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে খেলতে। এটা অদ্ভূত, আপনার প্রথমে ভালো লাগবে যখন স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে পরিচিত লোকদের দেখবেন। এটা অনেকটা সাধারণ বিষয় মনে হবে।’

জেরার্ডের লিভারপুলের দায়িত্ব নেওয়া নিয়ে ক্লপ বলেছেন, ‘ম্যানেজারের দায়িত্ব নেওয়ার সঠিক সময় কোনটি? কেবল সে নিতে পারছে না এই কারণে না কিন্তু কতদিন পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে চান? এটা কি শেষ চাকরি হবে? অথবা দ্বিতীয়? এসব প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। কিন্তু অবশ্যই- জেরার্ড কোচ হতে পারে। সেটা সবার জন্যই ভালো।’

এমএইচ