কিলিয়ান এমবাপের পরবর্তী গন্তব্য কোথায়? এ নিয়ে আলোচনার কমতি নেই চারপাশে। গত মৌসুমে তাকে দলে নিতে মরিয়া ছিল রিয়াল মাদ্রিদ, ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন এমবাপেও। কিন্তু তার বর্তমান ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইঁ ছাড়তে রাজি হয়নি তাকে। তাই চলতি মৌসুমেও থাকতে হয়েছে পিএসজিতে।

রিয়াল মাদ্রিদে খেলার স্বপ্নটা ছিল ছোটবেলা থেকেই। যেতে পারলে হবেন ক্লাবটির ভবিষ্যতের মূল ভরসা। শোনা যাচ্ছিল লিওনেল মেসি যোগ দেওয়াতেই নাকি পিএসজি ছাড়ার ভাবনা জোরালো হয়েছিল এমবাপের। তবে আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে প্রশংসাই করলেন ফরাসি তারকা।  

পিএসজি টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘যখন আপনার পাশে দারুণ খেলোয়াড় থাকবে সেটা লাভজনক হয় সবসময়। আমি এখন এমন একটা দলে খেলি যেখানে সহায়তা করার মতো নেইমার, মেসি, ডি মারিয়ার মতো খেলোয়াড় আছে...এটা সহজ। কখনও কখনও এটা স্ট্রাইকারের স্বভাব বল পেলেই শট করা। কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে আপনাকে সবকিছু করতে হবে।’
 
‘মেসির মতো খেলোয়াড়, যে ১৫ বছর বার্সেলোনাতে কাটিয়েছে। সে এখানে এসে আলাদা জিনিস দেখাতে পারে। তাকে অনুশীলনে কিংবা টিভিতে দেখা আর বাস্তবে খেলতে দেখার মধ্যে তফাৎ আছে।’

এমবাপের রিয়াল ছাড়ার আরেকটা কারণ বলা হয় পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে না পারা। এমবাপের সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে ওই প্রসঙ্গও। তার কাছে এক মৌসুমে ৫০ গোলেরও কোনো মূল্য নেই দল শিরোপা না জিতলে। সবসময় দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পছন্দ করেন বলেও জানিয়েছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা।

বলেছেন, ‘গত বছরটা আমার জন্য ভালো গেছে। ৪০টার মতো গোল করেছি কিন্তু আমরা লিগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারিনি। দিনশেষে চিন্তা করলাম ৫০ গোল করে যদি কিছু জিততে না পারি তাহলে লাভটা কী? কম গোল করেও লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারাটাই আমার কাছে ভালো মনে হয়।’

‘আমার চাপটা অনুভব করা দরকার। আমি সবসময় চ্যালেঞ্জ খুঁজে বেড়াই। কাঁধে দায়িত্ব নিতে চাই। চাপ নিতে চাই যদি শেষে সেটা হতাশারও হয়। এটা শেখার বিষয়। আমি কখনও লুকাই না এটা সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটা পদক্ষেপ হিসেবে দেখি।’

এমএইচ