দলের জয় নিশ্চিত করা গোলের পর সতীর্থদের উল্লাসের মধ্যমণি বনে গেলেন শাহরিয়ার ইমন/বাফুফে

স্বাধীনতা কাপে মোহামেডানের যাত্রাটা শেষ হয়ে গিয়েছিল গ্রুপ পর্বেই। তবে সে ব্যর্থতা পেছনে ফেলে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে সাদা-কালোরা। তবে তাতে লেগে থাকল বিতর্কের কালিমাও। মোহামেডান যে দশ জনের দলে পরিণত হতে পারত ম্যাচের ৩৫ মিনিটেই।

আজ কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের শেষ আটে এমন বিতর্ক জড়ানো ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-১ গোলে হারায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সাদা কালোদের হয়ে জয়সূচক গোল দুটি করেন সাহেদ মিয়া ও শাহরিয়ার ইমন। 

ম্যাচের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ন মুহূর্ত ছিল ৩৫ মিনিট। আক্রমণে উঠে আসে চট্টগ্রাম আবাহনী কিন্তু পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে প্রায় ৪০ গজ দূরে এসে হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে আক্রমণ নষ্ট করে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসাইন। মাঝ মাঠ থেকে উইলিয়াম তওয়ালার বাড়ানো বল মোহামেডানের রক্ষণভাগের সবাইকে পিছনে ফেলে বক্সের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কৌশিক বড়ুয়া, মোহামেডানের শেষ খেলোয়াড় হিসেবে বেরিয়ে এসে হাত দিয়ে বল রুখে দেন সুজন। সঙ্গে সঙ্গে ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি আনিসুর রহমান। হাত দিয়ে বল আটকানোয় চিটাগাং আবাহনীর ফুটবলাররা লাল কার্ডের আবেদন জানালেও সুজনকে হলুদ কার্ড দেন রেফারি। 

রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে ম্যাচ কমিশনার সুজিত কুমার ব্যানার্জির কাছে আবেদন জানাতে প্রেস বক্সে আসেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন অবস্থায় বক্স ছেড়ে বের হয়ে এসে হাত দিয়ে বল আটকানোয় লাল কার্ড দেখেছিলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তবে সুজন বেঁচে গেলেন একটা হলুদ কার্ড দেখেই!

মোহামেডান ম্যাচের লিড পায় ৬৫ মিনিটে। বাঁ দিক থেকে ওবি মোনেকের নিচু ক্রস সোলেমান দিয়াবাতে পা ছোঁয়াতে না পারলে বল চলে যায় অনিকের কাছে। অরক্ষিত অনিক হোসেনের ছোট পাসে বক্সের ভেতর থেকে শাহেদের প্লেসিং শট আরাফাত হোসেনের পা ছুঁয়ে জালে জড়ায়। ৭৩ মিনিটে হাস্যকর এক ভুলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় কোচ মারুফুল হকের দল। গোলরক্ষক সাইফুল ইসলামের পাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারায় বল খানিকটা সামনে চলে যায়। পেছন থেকে ছুটে আসেন মোহামেডানের শাহরিয়ার ইমন। তাড়াহুড়ো করে বল ক্লিয়ার করতে শট নেন কামরুল কিন্তু ইমনের গায়ে আচমকা লেগে মুহুর্তেই বল জালে জড়ায়। 

ইনজুরি সময়ে এক গোল শোধ দেয় বন্দরনগরীর দল। কামরুল হাসানের কর্নার ওবি মোনেকের ব্যাক হেড চলে যায় দূরের পোস্টে। সেখান থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড থ্যাংকগড। তবে ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। তাতে ম্যাচে আর সমতা ফেরানো হয়নি মারুফুলের দলের। চট্ট. আবাহনী বিদায় নেয় কোয়ার্টার থেকেই। ওদিকে স্বাধীনতা কাপের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে মোহামেডান পা রাখে শেষ চারের চৌকাঠে। 

এজেড/এনইউ