ম্যাচের বয়স তখন ৮৫ মিনিট, ০৬ সেকেন্ড। এক গোলে পিছিয়ে থাকা তিউনিসিয়া তখন ম্যাচে ফিরতে মরিয়া। দুটো ভিএআর যাচাই, কুলিং ব্রেক মিলিয়ে মূল ম্যাচে বাধাও কম পড়েনি। একটা বড় ইনজুরি সময় পাওয়ার আশা তো ছিলই। তখনই কিনা জাম্বিয়ান রেফারি জ্যানি সিকাজউই বাজিয়ে বসলেন তিন বাঁশি, মানে খেলা শেষ! সঙ্গে সঙ্গে তিউনিসিয়া বেঞ্চ থেকে তেড়ে এলেন কোচ-অফিসিয়ালরা।

রেফারি তার ভুল বুঝতে পারেন এরপরই। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে কুলিং ব্রেক দেওয়া হয়েছিল। রেফারি সিকাজউই সে বিরতিসহই ধরেছেন সময়, তাতেই এই ভুল বোঝাবুঝি!  

সে ‘ভুল’ শুধরে আবারও শুরু হয় খেলা, তিউনিসিয়ান গোলরক্ষকের কাছে পাঠানো হয় বল। তবে নাটকটা সেখানেই শেষ হলো না, ভুলের পুনরাবৃত্তিও ঠেকানো গেল না। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে সেই রেফারি এল বিলাল তোরেকে হলুদ কার্ড পাওয়ার মতো এক ফাউলে দেখিয়ে বসলেন লাল কার্ড, যে সিদ্ধান্ত ভিএআর দেখে এসেও বদলাল না আর। 

ম্যাচে এমনিতেই অনেক বিরতি এসেছে, যার কারণে বড় একটা ইনজুরি সময় হতেই পারতো। কিন্তু তা তো হলোই না, রেফারি আবারও খেলা শেষের আগেই বাজিয়ে বসলেন ‘শেষের বাঁশি’। আবারও প্রথম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল ক্যামেরুনের লিমবে অমনিস্পোর্ট স্টেডিয়ামে। শেষমেশ রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দুই দল ছেড়ে গেল মাঠ।

নাটক সেখানেও শেষ হয়নি। ম্যাচ শেষ করে তখন দুই দল সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিল, সেখানেও পড়ল রেফারির হানা। বলা হলো, খেলা আবারও মাঠে গড়াবে, শেষ তিন মিনিটের জন্য। সেজন্যে রেফারিও বদলে ফেলা হলো। 

এক গোলে এগিয়ে থাকা মালি ফিরলো মাঠে, তবে তিউনিসিয়া আর এলো না। তাই ১-০ গোলে জয়টা পেয়ে যায় দলটি। 

ম্যাচের শেষ ৫ মিনিট কিংবা তারও বেশি সময় ধরে চলা ‘নাটকের’ সঙ্গে অবশ্য শুরুর ৮৫ মিনিটের মিল নেই তেমন। ম্যাড়মেড়ে প্রথমার্ধের পর ইব্রাহিমা কোনের পেনাল্টি থেকে ৪৮ মিনিটে এগিয়ে যায় মালি। এরপর তিউনিসিয়া ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।

সেই এক ম্যাচ যে শেষ সময়ে এত নাটক দেখাবে, তা কে জানতো!