শুরু থেকে বলের দখল ছিল বটে, তবে ভোঁতা আক্রমণভাগের খেসারত দিয়ে বার্সা প্রতিপক্ষ আলাভেসকে কোনো চাপেই ফেলতে পারছিল না। তাতে ড্রয়ের শঙ্কাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল বেশ। তবে শেষ দিকে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের গোলে মূল্যবান জয়টা ঠিকই তুলে নিয়েছে দলটি।

প্রতিপক্ষ লিগ টেবিলের ১৯তম দল আলাভেস, তাদের বিপক্ষে বলের দখলে বার্সেলোনা আধিপত্য দেখিয়েছে প্রথম থেকেই। প্রথমার্ধের বাঁশির আগে ৭৭ শতাংশ সময় বলের দখলে ছিল বার্সা। তবে আক্রমণে সৃষ্টিশীলতার অভাব ভালোই ভুগিয়েছে দলটিকে। বিরতির আগে আক্রমণে উঠলেও এলচে রক্ষণে ত্রাস তেমন ছড়াতে পারেনি কোচ জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা।

বিরতির পর অবশ্য খেলায় পরিবর্তন এসেছে কিছুটা, তবে সেটা যে বার্সেলোনার সহজাত ফুটবলের ধারে-কাছেও ছিল না, তা বলাই বাহুল্য। তবু বার্সা ত্রাস ছড়িয়েছে আলাভেস রক্ষণে। শেষ মুহূর্তের কিছু ট্যাকলে স্বাগতিকরা বেশ কিছু আক্রমণ ভেস্তে দিয়েছে কাতালানদের, সঙ্গে ফের্নান্দো পাচেকোর বেশ কিছু সেভ আলাভেসকে অন্তত একটা পয়েন্টের আশা দেখাচ্ছিল। 

তাতে অবশ্য বার্সার শঙ্কাও বাড়ছিল। শেষ তিন ম্যাচে জয়ের দেখা নেই। গ্রানাডার বিপক্ষে লিগের সর্বশেষ ম্যাচে ড্রয়ের পর সুপার কাপে রিয়ালের কাছে হার, এরপর কোপা দেল রেতে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কাছে হার। এরপর আলাভেসের বিপক্ষেও ড্র হলে সেটা বড় মানসিক ধাক্কাই দিত বার্সাকে।

মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের গোলে সেটা আর হয়নি। জর্দি আলবার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে তা ডি ইয়ংকে স্কয়ার করেন ফেরান তরেস। ডাচ মিডফিল্ডার সেটা পাঠান জালে। শুরুতে অফসাইডের সন্দেহ থাকলেও ভিএআর যাচাই করে এসে গোল দেন রেফারি। তাতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বার্সার। 

প্রতিপক্ষের মাঠ থেকেই তুলে নেওয়া এই জয়ে বার্সার সংগ্রহ দাঁড়াল ২১ ম্যাচ থেকে ৩৫ পয়েন্ট। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ আছে তালিকার শীর্ষে।

এনইউ/এটি