টুখেলের চেলসির কাছে হেরে আরও দুর্দশায় মরিনিও
হারের পর টাচলাইনে টুখেলের সঙ্গে মরিনিও/ছবি: সংগৃহীত
জোসে মরিনিও ম্যাচের আগে ঠিকই বলেছিলেন, চেলসির কোচ হওয়াটা এমনই সহজ! বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যদি খেলে তার দল টটেনহ্যামের মতো খেলে। বদলের ইঙ্গিত দেয়া কোচ থমাস টুখেলের চেলসির কাছে হারের ব্যবধানটা যদিও মাত্র এক গোলের, তবু মরিনিওর দল যেভাবে খেলেছে তাতে দুর্দশা আরও বাড়ার ইঙ্গিতই পাচ্ছে স্পার্সরা।
নতুন দায়িত্বে আসার পর এটাই ছিল কোচ টুখেলের বড় পরীক্ষা। তবে সেটা যে এতো সহজ হবে, তা হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করেননি চেলসি কোচ। ১-০ ব্যবধানটা মোটেও ম্যাচের চিত্রটাকে তুলে ধরছে না, ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার মিছিল ভারি না হলে আরও বেশি গোলেও জিততে পারতো চেলসি।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে হ্যারি কেইনকে ছাড়া টটেনহ্যাম ছিল একেবারে ভোঁতা, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাই প্রতিপক্ষ গোলমুখে তেমন ত্রাস ছড়াতে পারেনি দলটি। মাঝমাঠেও ছিল ধারহীন। ১৩ ডিসেম্বর যে দলটি প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে ছিল, তা বৃহস্পতিবারের ম্যাচটি দেখে বোঝার উপায়ই ছিল না!
টুখেলের অধীনে ৩-৪-৩ ছকে ছোট-ছোট অথচ নিয়ন্ত্রিত পাসিংয়ে আক্রমণে উঠছে চেলসি। নিজেদের অর্ধে পাসের সংখ্যা বেড়েছে তাই, সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও। উঁচু রক্ষণরেখার কৌশল তো আছেই, আক্রমণের জায়গা বাড়ানোর জন্য খেলোয়াড়দের অবস্থান বদলও চোখে পড়ছে বেশ। এখন কেবল আক্রমণভাগ ছন্দ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষা চেলসির।
বিজ্ঞাপন
এমন কৌশলের সঙ্গে স্বাগতিক টটেনহ্যামের রক্ষণাত্মক কৌশল ম্যাচটায় চেলসিকে ধাতস্থ হওয়ার বড় সুযোগই করে দিয়েছিল। প্রথম বিশ মিনিটে ৭৭ ভাগ সময়ে বলের দখলে ছিল সফরকারী চেলসি! ২৪ মিনিটে জর্জিনিওর পেনাল্টিই তাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিল।
ফলে ২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো টানা তিন ম্যাচে হারের কবলে পড়ে টটেনহ্যাম। মরিনিও পান ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচে হারের বিস্বাদ।
এ হারের আংশিক দায় অবশ্য রেফারির ঘাড়ে চাপাচ্ছেন মরিনিও। বললেন, ‘আমি তাকে এমন কিছু বলেছি, যা সে আগ থেকেই জানে। যা হলো, আমি তাকে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা রেফারি হিসেবে দেখি। তার অনেক বড় ভক্ত আমি। তবে আজকে তার পারফর্ম্যান্স আমার ভালো লাগেনি।’
মরিনিওর বিশ্বাস, আত্মবিশ্বাসের অভাব দলকে নিয়ে এসেছে লিগের অষ্টম স্থানে। বললেন, ‘আত্মবিশ্বাস ফুটবলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন একটা দলের ফলাফল খারাপ হচ্ছে তার কারণ সেটা। স্বাভাবিকতায় ফিরে যেতেও সে আত্মবিশ্বাসই চাই আপনার।’
এনইউ/এটি