সবশেষ ব্যালন ডি’অর একরাশ বিতর্কের জন্মই দিয়ে গেছে। লিওনেল মেসি জিতেছেন যোগ্য হিসেবেই। তবে অনেকেরই বিশ্বাস, ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সের মাপকাঠিতে রবার্ট লেভান্ডভস্কিরই পাওয়া উচিত ছিল পুরস্কারটা। আগের বছর করোনার কারণে বাতিল হয়ে যাওয়ায় পাননি, ২০২১ সালে দারুণ পারফর্ম করেও হারলেন মেসির কাছে। পরে অবশ্য লেভা তার ‘প্রতিশোধটা’ নিয়েছেন ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কারটা জিতে। এবার বায়ার্ন মিউনিখ তারকা জানালেন, তার মতে ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কারটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

সম্প্রতি পোলিশ সংবাদ মাধ্যম পিলকা নজনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লেভান্ডভস্কি কথা বলেছেন একগাদা বিষয়ে। নিজের ভবিষ্যৎ, মেসি-রোনালদোর পড়তি ফর্ম নিয়ে মত দিয়েছেন তিনি। তবে যে বিষয়টা আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তা হলো ফিফা বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি’অরের মধ্যে তুলনা করে। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, তার জেতা ফিফা বর্ষসেরাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

বললেন, ‘ফিফা বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি’অর নিয়ে শেষ কিছু দিনে বেশ ভেবেছি আমি। এরপর আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, ফিফা বর্ষসেরাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

বায়ার্ন মিউনিখ তারকা তার ভাবনার পেছনের কারণটাও জানালেন। বললেন, ‘ব্যালন ডি’অরে শুধু সাংবাদিকরাই ভোট দেন। সেখানে কোনো যাচাইয়ের সুযোগ নেই। আর ফিফা পুরস্কারে পেশাদার খেলোয়াড়-কোচ ও সাংবাদিকদের ভোট থাকে। অধিনায়ক, কোচরা আমাদের পারফর্ম্যান্সকে আরও বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করেন, যেখানে প্রত্যেক ম্যাচ, রেকর্ড, চোটের কথা মাথায় রাখেন তারা। হতে পারে ব্যালন ডি’অর মর্যাদার দিক থেকে এগিয়ে, কিন্তু বর্ষসেরার যে পুরস্কারটা আমি জিতলাম, সেটা আমাকে আরও বেশি গর্বিত করে, কারণ আমি জানি এর জন্য কত পরিশ্রম আমি করেছি।’

তবে মেসি ব্যালন ডি’অর জেতার পর লেভান্ডভস্কির রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল, বিষয়টা মোটেও তেমন নয়, জানান লেভা। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা এমন নয় যে আমি রাতে ঠিকঠাক ঘুমোতে পারিনি। বরং আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করেছি যে কোথায় আমি ব্যর্থ হয়েছি। বিশেষ করে আমার মনে হয়েছে যে, রাজনীতিও ফুটবলে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে অনেক সময়। সেই ফলাফল আমাকে মোটেও ব্যথিত করেনি। খেলাটা উপভোগ করা, সতীর্থদের জিততে সাহায্য করাটা আমার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’