‘বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ঘুঘু তোমার বধিব পরান!’ বুলিটা সাও পাওলোর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার পর আওড়েছিলেন কি-না কে জানে। তবে সম্প্রতি ‘বারে বারে ঘুঘুতে ধান খেয়ে যাওয়ার’ ঘটনাই ঘটেছে ব্রাজিলের সাও পাওলোয়। আর সেই ঘটনার শিকার হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন নেইমার। নেইমারের অ্যাকাউন্ট থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে অভিযুক্ত এক হ্যাকারকে গ্রেপ্তারও করেছে স্থানীয় পুলিশ। 

সাও পাওলোর কর্মকর্তারা বলেছেন, ব্রাজিলের পুলিশ এমন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে যে তারা নেইমারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছে এবং বারবার ৪০০০০ ডলারেরও বেশি অর্থ চুরি করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সেই হ্যাকার একটি ব্যাংকে কাজ করছিল, যেখানে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই তারকা ও তার বাবার অ্যাকাউন্ট ছিল।

একটি পুলিশ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ব্যাংক ক্লায়েন্টদের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য’ বুধবার তারা ২০ বছর বয়সী সেই হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাদের বিবৃতিতে অবশ্য ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের নাম উল্লেখ করেনি। 

নেইমারের অ্যাকাউন্ট থেকেই যে টাকা চুরি গেছে, সেটা প্রকাশ পেয়েছে মামলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার মারফতে। ব্রাজিলীয় এক টিভি শো ব্রাসিল আর্জেন্টে ফ্যাবিও লোপেস জানিয়েছেন, নেইমারের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি গেছে। আর ব্যাখ্যাও করেছেন, কী করে চুরিটা হয়েছে।

ফ্যাবিও জানান, সেই হ্যাকার তার সহকর্মীর কাছ থেকে পাসওয়ার্ড যোগাড় করেছিল। যার মাধ্যমে বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষ যারা বেশ ধনী, এমন মানুষের অ্যাকাউন্টকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে অল্প অল্প করে টাকা সরানো শুরু করে, টাকার অঙ্কটা হাজার দুয়েক ডলার হলেও যেন তারা তা ধরতে না পারেন।

নেইমারের অ্যাকাউন্টটা তার বাবা চালাতেন। তিনিও শুরুতে ধরতে পারেননি বিষয়টা। যখন পেরেছেন, তখন নালিশ করেছেন কর্তৃপক্ষের কাছে। তারাই তদন্ত করে জানতে পারে, কাজটা করেছে কে!

২০ বছর বয়সী হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করলেও তার নাম অবশ্য এখনো প্রকাশ করেনি স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

এনইউ