শেষ ভালো যার, সব ভালো তার- বাংলার এই আদি প্রবাদ অনুযায়ী টঙ্গীতে ভেন্যুতে বাফুফের শেষটা ভালো হলো না। গতকাল ছিল প্রিমিয়ার ফুটবলে টঙ্গীতে লিগের শেষ ম্যাচ। চট্টগ্রাম আবাহনী ও মোহামেডানের মধ্যকার ম্যাচে আহত হয়েছেন বাফুফের ফটোগ্রাফার আব্দুল কাদের।

আশি-নব্বইয়ের দশকে সমর্থকের ছোড়া ঢিলে ফটোগ্রাফার, রিপোর্টারদের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটত। এখন ফুটবলে আগের সেই উন্মাদনা নেই। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কয়েক বছর পর পর হঠাৎ উত্তেজনায় ফটোগ্রাফাররা মাঝে মধ্যে আহত হন। টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে গতকাল ঘটেছে ব্যতিক্রম ঘটনা। 

করোনার জন্য দর্শক নিষেধাজ্ঞা রয়েছেই এছাড়া টঙ্গী স্টেডিয়ামে দর্শক গ্যালারিও নেই সেভাবে। এরপরও গতকাল বাফুফের ফটোগ্রাফার আহত হয়েছেন। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের ফুটবলার বল দখলের লড়াইয়ে ছিলেন। এক ফুটবলার ব্যালেন্স হারিয়ে মাঠের সীমানার কয়েকগজ সামনে পড়েন। তার উপর পড়েন আরেক ফুটবলার।

দুই জন এক সঙ্গে পড়াতে সামনে থাকা ফটোসাংবাদিকরা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। আব্দুল কাদের কিছুটা নিরাপদ দূরত্বে থাকলেও দুই ফুটবলারের চাপে পড়ে ব্যাথা পান। তার পাশে থাকা আরেক ফটোসাংবাদিক আব্দুল আলীম নিজেকে কিছুটা নিরাপদে রাখতে পারলেও কাদের পারেননি। কপালের নিচের অংশে ও চোখের উপর কেটে যায় তার। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নেয়া হলে দুটো সেলাই দেয়া হয়। 

অনেক দিন ফুটবলে ফটোগ্রাফি করা আব্দুল কাদের বলেন, ‘এ রকম অভিজ্ঞতা এর আগে হয়নি। মাঠের আয়তন এমনিতেই ছোট এরপরও নিরাপদ দূরত্বেই ছিলাম। এরপরও দুর্ঘটনার শিকার হলাম।’

কাদের আহত হওয়ায় মিডিয়া বিভাগ থেকে দু’দিনের বিশ্রাম পেয়েছেন তিনি। মিডিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ উইং হলেও বাফুফের এই দিকে নজর খুবই কম। হেড অফ মিডিয়া আহসান আহমেদ অমিত প্রয়াত হয়েছেন কয়েক মাস। এখনো সেই শূন্য পদ পূরণ হয়নি। একজন এক্সিকিউটিভ দিয়েই মিডিয়া বিভাগ পরিচালনা করছে বাফুফে। 

এজেড/এটি/এনইউ