বিয়াকা লুসাই/ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কিংবদন্তী ক্রীড়াবিদ জুম্মন লুসাইয়ের পরিবারের শোক যেন কাটছেই না। গেল সপ্তাহে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন জুম্মনের ভাই, এবার ৫ দিনের ব্যবধানে তার ভাতিজাও পরলোকগত হলেন। 

গত ৩ মার্চ জুম্মনের ছোট ভাই জুবেল লুসাই মারা যান। পাঁচ দিনের ব্যবধানে লুসাই পরিবারে আরেকটি শোক। জুম্মনের মেজ ভাই ডনডন লুসাইয়ের ছেলে বিয়াকা লুসাই আজ সন্ধ্যায় ভারতের মিজোরামে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জুম্মনের মতো বিয়াকাও ছিলেন ক্রীড়াবিদ, খেলেছেন হকি ও ফুটবল দুটো খেলাই।

জুম্মনের বড় বোন মারিয়াম চৌধুরি ভাতিজা বিয়াকার মৃত্যু সম্পর্কে বলেন, ‘বিয়াকা আমার মেঝভাই ডনডনের ছেলে। বিয়াকার কিডনিজনিত সমস্যা ছিল। আজ হিমোগ্লোবিন কম ছিল। মিজোরামে হাসপাতালে নেয়া হলেও বাঁচানো যায়নি বিয়াকাকে।’ 

বিয়াকার বাবা ডনডনও ক্রীড়াবিদ ছিলেন। বাবা-চাচার মতো বিয়াকার জীবন ক্রীড়াঙ্গনে কেটেছে। হকি প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন ঢাকা মেরিনার ইয়াংসের হয়ে। চাচা জুম্মন লুসাই অনেক বার আবাহনীতে নিতে চাইলেও মেরিনার্সে খেলেছেন। এই প্রসঙ্গে মারিয়াম বলেন, ‘জুম্মন ওকে আবাহনীতে নিতে চাইলেও যায়নি। সে মাঠে খেলতে পছন্দ করত। মেরিনার্সে খেলার সুযোগ বেশি পাবে এজন্য ও যায়নি। একবার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছিল।’

হকি জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছিলেন কয়েকবার। হকি ছাড়া ফুটবলও খেলেছেন তিনি। ফুটবল ঢাকায় প্রিমিয়ার লিগ না খেলতে পারলেও সিলেট জেলা দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।  

ক্যারিয়ার শেষের কিছু দিন পর ভারতের মিজোরামে চলে যান। সেখানেই লুসাই পরিবারের অনেক সদস্যের সঙ্গে বসবাস করছিলেন তিনি।

এজেড/এনইউ