মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে কথা বলছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ

হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন ছিল আজ (৮ জুন)। মনোনয়ন সংগ্রহের দ্বিতীয় দিনে চমক দেখিয়েছেন বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসিফুল হাসান। তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। রোলার স্কেটিংয়ের সম্পাদক হলেও তিনি অনেকদিন ধরেই হকির সঙ্গে সম্পৃক্ত। হকির দ্বিতীয় বিভাগ লিগে আসিফ রায়ের বাজার ক্লাব পরিচালনা করেন। 

হকিতে কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করে আসিফ বলেন, ‘দ্বিতীয় বিভাগ হকিতে আমার দল রয়েছে। হকিতে আমার সম্পৃক্ততা অনেকদিন আগে থেকেই। এবার ফেডারেশনের কমিটিতে এসে হকির উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’

বাংলাদেশে একটি অপ্রচলিত খেলা রোলার স্কেটিং। সেই রোলার স্কেটিংয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল রোলার স্কেটিং ফেডারেশন। রোলার স্কেটিং ছাড়াও পল্টন ময়দানে খেলার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পেছনেও ভূমিকা রয়েছে এই ক্রীড়া সংগঠকের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুটি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটিতে এবং তিনটি ফেডারেশনের সাধারণ পরিষদের (কাউন্সিলর) সদস্য হতে পারবেন।

হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে ঢাকার ক্লাব ও জেলা-বিভাগ সংগঠকদের সমন্বয়ে একক প্যানেল হওয়ার কথা। আজ সাঈদ-রশিদরা ৫০টির অধিক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সবমিলিয়ে হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে ৬৩ মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের গঠিত নির্বাচন কমিশন।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহে অধিকাংশ প্রার্থীই একটি মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও আব্দুর রশিদ শিকদার, মমিনুল হক সাঈদ, এহসান রানা, জাকি আহমেদ রিপন ও ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর দুটো করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কোটায় পাঁচ কাউন্সিলরের মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ ইউসুফের মনোনয়নও সাঈদ-রশিদরা সংগ্রহ করেছেন। তারা নিজেরা দুটি মনোনয়নপত্র নিলেও ইউসুফের জন্য মাত্র একটি মনোনয়নই নিয়েছেন। যদিও সহ-সভাপতি এবং যুগ্ম সম্পাদক উভয় পদ নিয়ে আলোচনায় আছেন ইউসুফ।

হকি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি ২৮ সদস্য বিশিষ্ট। জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক পরিষদ ১০টি ও ঢাকার ক্লাবগুলোর ১৮টি পদের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। ৮৬ কাউন্সিলরের মধ্যে অর্ধেকের বেশি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এত মনোনয়নপত্র উঠিয়ে কিভাবে সমন্বয় হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ বলেন, ‘১০-১৮টি কোনো সংখ্যা নয়। হকিতে যারা কাজ করেন এবং হকির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন তাদের নিয়েই একটি কমিটি গঠিত হবে। ক্রীড়াঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ ও সমন্বয়ে করা হবে এটি।’

আগামী ১১ জুন মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনক্ষণ। ওই দিনই স্পষ্ট হবে কে কোন পদে রয়েছেন। কাউন্সিলর বঞ্চিতরা তাদের অধিকার আদায়ে আইনি চেষ্টা করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

এজেড/এএইচএস