ছবি: সংগৃহীত

একে একে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম ছাড়ছেন হকি খেলোয়াড়রা। প্রায় দুই সপ্তাহ এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য অনুশীলন করেছেন তারা। আকস্মিকভাবে গত শুক্রবার এশিয়ান হকি ফেডারেশন দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্থগিত করে।
 
শুক্রবার এশিয়ান হকি ফেডারেশন ওয়েবসাইটে টুর্নামেন্ট স্থগিতের ব্যাপারে প্রকাশ করলেও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন আনুষ্ঠানিকভাবে জেনেছে রোববার। তাই সোমবার পর্যন্ত অনুশীলন করেছিলেন জিমিরা। সোমবার বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন ক্যাম্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে খেলোয়াড়রা যে যার গন্তব্যে ফিরে গিয়েছেন।
 
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ বলেন, ‘স্থগিত টুর্নামেন্ট হয়তো সেপ্টেম্বর-অক্টোবর হবে।এতদিন ক্যাম্প চালানো সম্ভব নয়। ফলে আমরা ক্যাম্প স্থগিত করেছি। খেলোয়াড়রা কেউ বাড়িতে, কেউ সার্ভিসেস বাহিনীর ক্যাম্পে যোগদান করবে।’

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের পরবর্তী কর্ম পরিকল্পনা সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে আমরা শহীদ স্মৃতি টুর্নামেন্ট করব। এপ্রিলের আগে একটি নারী হকি টুর্নামেন্টেরও পরিকল্পনা আছে।’
 
১-১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস। যেখানে হকিতে পুরুষ ও নারী দুই ইভেন্টেই থাকবে। বাংলাদেশ গেমস নিয়ে ইউসুফের মন্তব্য, ‘নারী ইভেন্টে আমাদের ছয়টি দল প্রতিদ্বন্দীতা করবে। ছয়টি দল শুধু জেলা ভিত্তিক হবে। পুরুষদের অংশ নেবে ১২টি দল। এর মধ্যে জেলা ও সার্ভিসেস বাহিনী অর্ন্তভূক্ত থাকবে।’

বাংলাদেশের হকিতে সাম্প্রতিক সময়ে স্কুল, নারী, অনুর্ধ্ব হকি হলেও লিগ হচ্ছে না প্রায় তিন বছর। ক্লাবগুলোর ভেতরের সমস্যা, ফেডারেশনের নেতৃত্বের অভাবের বলি হচ্ছেন কয়েক শ’ হকি খেলোয়াড়। 

লিগ আয়োজন প্রসঙ্গে মোঃ ইউসুফ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি লিগ আয়োজনের। সামনে লিগ কমিটির সভা আহ্বানের চেষ্টা করব। সামগ্রিক বিবেচনায় ঈদের আগে হয়তো দলবদল করা সম্ভব হবে না।’ 

২০১৮ সালে সর্বশেষ প্রিমিয়ার হকি লিগ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১১-১৯ মার্চ এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকি হওয়ার কথা ছিল। যে টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, জাপান,মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার অংশ নেওয়ার কথা ছিল। মূলত জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে খেলতে রাজি না হওয়ায় টুর্নামেন্ট দ্বিতীয় দফা পেছাতে বাধ্য হয় এশিয়ান হকি ফেডারেশন। 

এজেড/এমএইচ

এনইউ /এটি