ছবি: সংগৃহীত

১১- ১৯ মার্চ ঢাকায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকি হওয়ার কথা ছিল। স্বাগতিক বাংলাদেশ সেভাবে নিজেদের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। শুক্রবার রাতে এশিয়ার হকি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এশিয়ান হকি ফেডারেশন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে গেল নভেম্বরে প্রতিযোগিতাটি হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে আসছে মার্চে নিয়ে আসা হয়েছিল।

তাদের ওয়েবসাইটে স্থগিতের কারণ হিসেবে দেখিয়েছে চলমান করোনা পরিস্থিতি। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও অংশগ্রহণকারী দেশের সঙ্গে ‘আলোচনা করে’ এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন এ ঘোষণায় রীতিমতো বিস্মিত!

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ জানাচ্ছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কিছুই জানায়নি এএইচএফ। তিনি বলেন, ‘তারা ওয়েবসাইটে দিয়েছে কিন্তু আমাদের ইমেইলের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। কিছু দিন আগে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি, সফরকারী দলগুলোর জন্য সরকারের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল এশিয়ান হকি ফেডারেশন। আমরা তাদের সকল তথ্য দিয়েছি পাশাপাশি জানিয়েছি আমরা আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।’ 

হকি ফেডারেশন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের অনুমান, অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দেশের জন্যে আসর পিছিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আয়োজন করতে প্রস্তুত ছিলাম৷ অংশগ্রহণকারী দেশের মধ্যে হয়তো মালয়েশিয়া, কোরিয়া বা জাপান এই মুহূর্তে আসতে রাজি ছিল না এজন্য টুর্নামেন্ট স্থগিত করতে বাধ্য হয় এশিয়ান হকি ফেডারেশন।’ 

স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়া এই টুর্নামেন্টের অন্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলো ছিল ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও জাপান। শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নয় দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য নারী হকির টুর্নামেন্টও স্থগিত করেছে এশিয়ান হকি ফেডারেশন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সম্ভাব্য পরবর্তী সূচি সেপ্টেম্বর। 
স্বাভাবিকভাবেই চলমান জাতীয় দলের হকি ক্যাম্প বন্ধ হবে। তবে ইউসুফ আনুষ্ঠানিকভাবে এএইচএফের বার্তা পেলে তবেই বন্ধ হবে ক্যাম্প, ‘ইমেইল না পাওয়া পর্যন্ত আমরা ক্যাম্প বন্ধ করতে পারি না। ইমেইল আসলে সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে ক্যাম্পও স্থগিত রাখব।’ 

এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা স্থগিত হলো এশিয়ান হকির গুরুত্বপূর্ণ এই আসর। গত বছর নভেম্বরে হওয়ার কথা ছিল। সেটি পিছিয়ে মার্চে নেয়া হয়। এখন সেটা পিছিয়ে আবার সামনের সেপ্টেম্বরে নেয়া হচ্ছে। 

এজেড/এনইউ/এটি