আশি-নব্বইয়ের দশকের তারকা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় জুলেখা আক্তার আর নেই। গতকাল আমেরিকাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের অন্যতম সদস্য ও কোচ মোহাম্মদ আলী জুলেখার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। 

অনেক দিন থেকে জুলেখা আমেরিকা প্রবাসী। আলীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নিয়মিত জুলেখার, ‘আমেরিকা থাকলেও আপার সঙ্গে আমার প্রায়ই কথা হতো। তিনি আকস্মিকভাবে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।’ 

জুলেখা নারায়ণগঞ্জ থেকে জাতীয় টিটিতে উঠে এসেছিলেন। আফগান কুস্তি কোচ ফারুক তার জীবনের গল্প বদলে দেন। ‘আফগানিস্তানের কোচ ফারুক বাংলাদেশের কুস্তিতে কোচ হিসেবে এসেছিলেন। তখন জুলেখা আপার পরিচয় ও সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে তারা আমেরিকা যান ও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন’-বলেন আলী। কয়েক বছর আগে ফারুক-জুলেখা বাংলাদেশেও এসেছিলেন। 

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের টেবিল টেনিসের সঙ্গে যুক্ত সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম টিপু। তিনি জুলেখার ব্যপারে বলেন, ‘সে অত্যন্ত ভালো মানের খেলোয়াড় ছিল। জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড আছে। পরবর্তীতে আফগান কোচের সঙ্গে তার সম্পর্ক জীবনকে আমেরিকার দিকে টেনে নিয়ে যায়।’ 

আমেরিকাতে বেশ ভালোই দিন কাটছিল ফারুক ও জুলেখার। আর্থিক স্বচ্ছলতাও ছিল বেশ। ‘আমেরিকা থাকলেও বাংলাদেশের টেবিল টেনিসের খোঁজ রাখত জুলেখা। প্রয়াত সাংবাদিক রুমি ভাইয়ের স্মরণে টুর্নামেন্টে সেই সময় জুলেখা বেশ ভালো অঙ্কের অনুদান দিয়েছিল এবং পরবর্তী টুর্নামেন্ট সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহনের কথা বলেছিল সে’-বলেন ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম টিপু। 

আফগান কোচ ফারুকের আগের সংসারে সন্তান থাকলেও জুলেখা ছিলেন নিঃসন্তান। এরপরও আফগান কোচের সঙ্গে তার জীবন বেশ ভালোই কাটছিল আমেরিকায়। বিদেশি কোচের সঙ্গে বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদের বিয়ের ঘটনা তেমন একটা নেই। সেক্ষেত্রে জুলেখা-ফারুকই অগ্রগণ্য। 

এজেড/এনইউ